এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > ফের ধর্ষণের অভিযোগ, নাম জড়ালো হেভিওয়েট তৃণমূলের শীর্ষ নেতার ভাইয়ের, চাঞ্চল্য রাজ্যে!

ফের ধর্ষণের অভিযোগ, নাম জড়ালো হেভিওয়েট তৃণমূলের শীর্ষ নেতার ভাইয়ের, চাঞ্চল্য রাজ্যে!

সম্প্রতি রাজ্য বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়িকার একটি মন্তব্য আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল রাজ্য রাজনীতিতে। যেখানে বিরোধী দলের মহিলা বিধায়িকার উদ্দেশ্যে তৃণমূলের মহিলা বিধায়িকা নার্গিস বেগম বলেন, “তোমার ধর্ষণ হবে।” যা রীতিমতো সমালোচনার শিকার হয় বিভিন্ন মহলে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, যার যেরকম রুচি, সেরকম ভাষাতেই কথা বলবে। আর এবার এই ঘটনা নিয়ে আলোড়নের মাঝেই তৃণমূলের হেভিওয়েট কাউন্সিলারের ভাইয়ের বিরুদ্ধে উঠল ধর্ষণের অভিযোগ।

সূত্রের খবর, বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানার পূর্বপল্লীতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে বোলপুরের আট নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের ভাই ইরফান শেখের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। জানা যায়, গত শনিবার বিকেলে শান্তিনিকেতনের পূর্ব পল্লীতে ইরফান শেখ নামে এক ব্যক্তি সাইকেল করে ঘুরতে যাওয়ার নাম করে তৃতীয় শ্রেণীর এক নাবালিকা ছাত্রীকে সেখানে নিয়ে আসে। তারপরে অন্ধকারে সেই রাস্তায় ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। আর এর পরেই সেই বাচ্চা মেয়েটি চিৎকার করতে শুরু করলে প্রতিবেশীরা সেখানে জড়ো হতেই তারা অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের ভাইকে হাতেনাতে ধরে ফলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরবর্তীতে পুলিশ এসে সেই ইরফান শেখকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আর আট নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ওমর শেখের ভাই নাবালিকাকে ধর্ষণের জন্য হাতেনাতে ধরা পড়ায় রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে সর্বত্র। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কাউন্সিলর ওমর শেখ বলেন, “কেউ অপরাধ করলে শাস্তি পাবেই। আমার ভাই বলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। যদিও এই ভাইয়ের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিন কোনো সম্পর্ক নেই। বহু বছর আগে পরিবার থেকে তাকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে।”

তবে এখন তৃণমূল কাউন্সিলর যতই চাপে পড়ে এই ধরনের কথা বলুন না কেন, বিরোধীরা যে এই ঘটনাটি ইস্যু করতে ছাড়বে না এবং এই ঘটনায় যে তৃণমূল ব্যাপক চাপে পড়বে, তা প্রমাণিত হতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বোলপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিষেক রায়ের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অবিলম্বে দোষীদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সব মিলিয়ে এবার তৃণমূল কাউন্সিলরের কুকীর্তির জেরে প্রবল চাপে পড়তে হল তৃনমূল কংগ্রেসকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!