প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে প্রতি মুহূর্তে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে দেখা যাচ্ছে নন্দীগ্রামের বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে। বর্তমানে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রচারে এসেও মাঝেমধ্যেই সরব হচ্ছেন তিনি। কখনও কখনও শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে এমন কিছু মন্তব্য করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, যা তৃণমূলের চাপ ক্রমাগত বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার শুভেন্দু অধিকারীর বিরোধী দলনেতা পদে থাকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। স্বাভাবিকভাবেই মদনবাবুর একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

সূত্রের খবর, আজ এই ব্যাপারে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিধায়ক মদন মিত্র। যেখানে তিনি বলেন, “দিলীপ ঘোষের চাকরি গেছে। এবার শুভেন্দুরও চাকরি যাবে। আমি যদি ভুল না হই, তাহলে আগামী 3 তারিখে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী ফলাফল বেরোবে। আর তার আগে যদি বিধানসভার সেশন শুরু না হয়, তাহলে বিরোধী দলনেতার চেয়ারে আর বসতে পারবেন না শুভেন্দু অধিকারী।” কিন্তু হঠাৎ করে কেন এই ধরনের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মদন মিত্র, এখন তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, বহু চেষ্টা করেও শুভেন্দু অধিকারী দলীয় বিধায়কদের তৃণমূলে যোগদান আটকাতে পারছে না‌। আর সেই কারণেই তার ভাবমূর্তি দলের কাছে কিছুটা হলেও প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে বলে দাবি করছেন সমালোচক মহলের একাংশ। ইতিমধ্যেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আর তারপর থেকেই বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী যদি সাফল্য না পান, তাহলে তাকেও সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে অনেকে দাবি করতে শুরু করেছিলেন। আর সেই বিষয়েই কি এদিন বিস্ফোরক মন্তব্য করে কার্যত শোরগোল ফেলেছিলেন মদন মিত্র? তবে গোটা বিষয়ে জল্পনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।