এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মানুষের টাকায় মানুষকে ভুল বুঝিয়ে আইনবিরুদ্ধ বিজ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রীর? বিস্ফোরক রাজ্যপাল

মানুষের টাকায় মানুষকে ভুল বুঝিয়ে আইনবিরুদ্ধ বিজ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রীর? বিস্ফোরক রাজ্যপাল

 

অসমে এনআরসি চালুর পর থেকেই বাংলাতেও এনআরসি চালু হবে বলে দাবি করেছিল গেরুয়া শিবিরের নেতারা। তবে প্রথম থেকেই তিনি থাকতে বাংলাতে কোনভাবেই এনআরসি চালু করতে দেবেন না বলে জেহাদ ঘোষণা করতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে সম্প্রতি সংসদের দুই কক্ষ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়ে যাওয়ার পর তাতে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

যার ফলে সেই বিষয়ে পরিণত হয়ে গেছে। কিন্তু এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়ে যাওয়ার পরেই তা নিয়ে রাজ্যে আগুন জ্বলতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে কোথাও ট্রেন আটকে বিক্ষোভ, কোথাও ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া, আবার কোথাও বা রাস্তা অবরোধ করতে শুরু করেছেন আন্দোলনকারীরা। তবে প্রথম থেকেই এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল তারা মানবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

কিন্তু আন্দোলনকারীরা যেভাবে আন্দোলন করছে, তা রোধ করার কথাও শোনা কাছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। তবে এবার বিতর্ককে উসকে দিয়ে সংসদে পাস হয়ে যাওয়া নাগরিকপঞ্জি সংশোধনী আইনের প্রকাশ্যে বিরোধিতা করল রাজ্য সরকার।

জানা গেছে, ইতিমধ্যেই শহরজুড়ে সরকারি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পশ্চিমবঙ্গে কার্যকর হবে না বলে জানানো হচ্ছে। আর সংসদের দুই কক্ষে পাস হয়ে যাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি তাতে স্বাক্ষর করে দিলেও, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি বিজ্ঞাপনে কেন তা না মানার কথা বলা হচ্ছে! তা নিয়ে এবার রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হলেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল বলেন, “রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হবে না বলে বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। এটা কিভাবে বলা যেতে পারে! এমন ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। মানুষের করের টাকায় এটা আইনবিরুদ্ধ কাজ। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছি, বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার করুন। সামলাতে না পারলে সংবিধানে সাহায্য চাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্যের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই জাগদীপ ধনকারের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে দূরত্ব তৈরি হয়েছে রাজ্য সরকারের। আর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে যখন রাজ্যে উত্তাপ ছড়িয়েছে, ঠিক তখনই সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশ্য বিজ্ঞাপনে তা মানা হবেনা বলে জানিয়ে দেওয়ায়, রাজ্যপালের সরকারবিরোধী বক্তব্য রাজ্যে সাংবিধানিক সংকটের সৃষ্টি করতে পারে বলে মত বিশ্লেষকদের।

এখন রাজ্যপালের সতর্কবার্তার পর সরকারপক্ষ সেই বিজ্ঞাপন থেকে নাগরিকপঞ্জি নিয়ে তাদের করা বক্তব্য তুলে নেয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!