এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > “এবার কোন মুখে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষের কাছে ভোট চাইবো” – হাহাকার বিজেপির কর্মী মহলে

“এবার কোন মুখে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষের কাছে ভোট চাইবো” – হাহাকার বিজেপির কর্মী মহলে

2011 সালে রাজ্যে পালাবদলের পরই ক্ষমতার মসনদে বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন বলে দাবি করে রাজ্যের শাসক দল। পরবর্তীতে 2016 সালে সেই উন্নয়নের নিরিখেই ভোট চেয়ে ফের দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস।

কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তীতে যে কয়টা নির্বাচন হয়েছে এরাজ্যে সেখানে রাজ্যের শাসকদলের ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলেছে বিজেপি। যার মূল কারিগর হিসেবে দিলীপ ঘোষেরই কৃতিত্ব রয়েছে বলে দাবি করেন রাজ্য বিজেপির একাংশ।

আর যে 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর সাম্প্রতিক রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রের উপ-নির্বাচন ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূলের দুর্নীতি প্রকাশ্যে এনে প্রবল প্রচার তুলেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এমনকি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগেও রাজ্য তৃণমূল বিরোধী হাওয়া তুলতে প্রবল প্রচারে ঝড় তুলতে দেখা গেছে সেই দিলীপ ঘোষকে।

আর রাজ্য সভাপতির এহেন মন্তব্যেই বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছেন রাজ্যের বিজেপির নিচুতলার কর্মী-সমর্থকরা। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন নির্বাচনে এই রাজ্যে দলীয় কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো এবং গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন সময়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা গেছে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে এই ব্যাপারে একটি অভিযোগও জানিয়েছিলেন দীলিপবাবুরা। কিন্তু সেই দীলিপবাবুর হঠাৎ এই উলটপুরান কেন?

রাজ্যের শাসকদলের নেতারা বিভিন্ন সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী রূপে দেখার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান জানালে সেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বিভিন্ন সময় খোঁচা দিয়েছেন দীলিপবাবু। আর এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হলে ভালো হবে বলে মন্তব্য করায় তীব্র জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

আর দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্যেই এখন তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছেন রাজ্য বিজেপির নিচুতলার কর্মী-সমর্থকরা। কেননা যে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে ঘিরে এতদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাড়তি অক্সিজেন পাচ্ছিলেন তাঁরা, এদিন সেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেওয়ায় তাঁরা যে অনেকটাই বিপদে পড়বেন তা বলাই যায়।

ফলে যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায় এতদিন গেরুয়া শিবিরের নীচুতলার কর্মী সমর্থকেরা তৃনমূলের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতেন, সেই দিলীপ ঘোষেরই গলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হলে ভালো হবে বললে ঠিক কি ভাবে লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁরা মানুষের কাছে গিয়ে ভোট চাইবে তা নিয়ে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।

এখন কিভাবে দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্যকে ঠেকিয়ে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা লোকসভায় গেরুয়া ঝড় তুলতে পারে এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!