এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের মিছিলে গেলেই মিলবে 100 দিনের কাজের হাজিরার টাকা, নতুন বিতর্কে শাসকদল!

তৃণমূলের মিছিলে গেলেই মিলবে 100 দিনের কাজের হাজিরার টাকা, নতুন বিতর্কে শাসকদল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বিগত 34 বছরের বাম সরকারের আমলে তৃনমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হত, যারা বামেদের মিটিং মিছিলে যাবে, তারাই প্রকৃত সুযোগ-সুবিধা পাবে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সেই রকম কোনো ঘটনার সাক্ষী থাকতে হবে না বাংলার মানুষকে বলেই আশা করেছিলেন প্রত্যেকে। রাজনীতি নয়, মানুষের দুর্দিনে তৃণমূল কংগ্রেস পাশে দাঁড়াবে বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূলের নানা নেতা-নেত্রী। তবে বামেদের ছেঁড়া চটিতেই যে এবার পা গলাবে তৃনমূল কংগ্রেস, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

সূত্রের খবর, এবার তৃণমূলের মিছিলে যাওয়ার শর্তে 100 দিনের কাজের হাজিরা পেলেন সেই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা। যার ফলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোঘাট 2 ব্লকের বেঙ্গাই পঞ্চায়েত এলাকায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে এদিন ডিজেল ও পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বেঙ্গাই 16 নম্বর সংসদে শাসক দলের পক্ষ থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। অভিযোগ, সেখানেই 100 দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের সেই সংসদের সদস্য তৃণমূলের বাসব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যারা মিছিলে যাবেন, তাদের 100 দিনের কাজ প্রকল্পের একটি রোজ দেওয়া হবে।”

অর্থাৎ শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী একটা জিনিস পরিষ্কার যে, তৃণমূলের এই নেতা নিজেদের মিছিল ভরাট করার জন্য 100 দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের সেখানে টেনে তাদের বিনা কাজে পারিশ্রমিক দিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক রাজনীতির অভিযোগ উঠল, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কেন তিনি এমনটা বললেন?

কেন মিছিলে গেলে তাদের পারিশ্রমিক দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিলেন এই তৃণমূল নেতা? এটা কি দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় নয়! এদিন এই প্রসঙ্গে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য বাসব চট্টরাজ বলেন, “আমি এরকম কোনো নির্দেশ দেইনি।” তবে গোটা ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস যে ব্যাপক চাপে পড়েছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রত্যেকে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী দল বিজেপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, “তৃণমূল কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করছে। এখন দলের কর্মসূচি চালাতে প্রকাশ্যে জোচ্চুরি শুরু করেছে। পুরো বিষয়টা আমরা রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় স্তরে জানাচ্ছি।” তবে দলের পঞ্চায়েত সদস্য যেভাবে এই ধরনের কাজ করলেন এবং তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক ছড়াল, ফলে তারা কি এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবেন না?

এদিন এই প্রসঙ্গে গোঘাটের তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদার বলেন, “পঞ্চায়েত সদস্য শ্রমিকদের বলেছিলেন, মিছিলে গেলে মাংস ভাত খাওয়াবেন। শ্রমিকরা ভুল বুঝে কাজের জায়গায় গোলমাল করেন। পঞ্চায়েত থেকে তাদের হাজিরা দেওয়া হয়েছে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতীতে বামেদের বিরুদ্ধে এই রকম অভিযোগ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বামেরা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন মিছিলে যাওয়ার নাম করে মানুষকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা।

যার ফলে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছিল তাদের বিরুদ্ধে। এমনকি এইরুপ কাজের জন্য ক্ষমতা থেকেও বিদায় নিতে হয়েছিল বামেদের। কিন্তু এবার তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসায় তাদের নেতাদের বিরুদ্ধেও সেই একই অভিযোগ ওঠায় এখন শাসকদল ব্যাপক চাপে পড়ল। ফলে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!