এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > তৃণমূলের ‘চামড়া তুলে নেবার’ স্লোগান উঠল তৃণমূলের মিছিল থেকেই!

তৃণমূলের ‘চামড়া তুলে নেবার’ স্লোগান উঠল তৃণমূলের মিছিল থেকেই!

শাসকদলের মিছিল থেকে শাসকদলেরই চামড়া তুলে নেবার স্লোগান উঠল! শুনতে আজব লাগলেও এমনটাই ঘটেছে জলপাইগুড়িতে। তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জির নেতৃত্ত্বে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক মিছিলে স্লোগান ওঠে, তৃণমূলের চামড়া, তুলে নেব আমরা! আর যা সামনে আসতেই চূড়ান্ত অস্বস্তিতে শাসকদল, তবে তা সামাল দিতে সৈকত চ্যাটার্জি বলেন, শাসকদলকে বদনাম করতে বিজেপি কর্মীরা মিছিলে ঢুকে ওই স্লোগান দিয়েছে। কিন্তু ওই স্লোগান যখন উঠছিল তিনি ছিলেন সামনেই, তখন কেন বাধা দেননি, সেই প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে চান নি তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, জলপাইগুড়িতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ফোর লেনের কাজের জন্য শ্রমিক নেওয়া হচ্ছে। বিজেপি সমর্থিত শ্রমিকরা গতকাল সেখানে কাজ চাইতে গেলে গন্ডগোল বাধে, বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয়দের বঞ্চিত করে বাইরে থেকে আনা শ্রমিকদের কাজ দিচ্ছে শাসকদল। আর এই নিয়ে ছড়ায় তীব্র উত্তেজনা, হাতাহাতি বেঁধে যায় তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে, ঘটনায় কয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপরেই গতকাল, বিজেপির পার্টি অফিস ভেঙে দিয়ে দলের নেতাদের পিঠের চামড়া তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জি। আর আজ এক মিছিল করে, মিছিলে দুই অংশগ্রহণকারীর মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর মুখোশ পরিয়ে, হাত বেঁধে ঘোরানো হয়। সৈকতবাবুর দাবী এই দুজন (নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ) হলেন ভারতের সবথেকে বড় দুই ‘দুষ্কৃতী’, তাই তাঁদের প্রতীকী গ্রেপ্তার করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সঙ্গে তিনি জানান, তৃণমূলের উপর আক্রমণ চললে জলপাইগুড়িতে প্রতিটি বিজেপি নেতার চামড়া তুলে নেবে তৃণমূল কংগ্রেস।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!