এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রেশন কার্ড নিয়ে ফের মিথ্যাচার মমতার, আসল কথা ফাঁস করলেন শুভেন্দু !

রেশন কার্ড নিয়ে ফের মিথ্যাচার মমতার, আসল কথা ফাঁস করলেন শুভেন্দু !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রেশন বন্টন দুর্নীতি কাণ্ডে এমনিতেই ফেঁসে রয়েছে এই রাজ্যের সরকার। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই জ্যোতিপ্রিয় বাবু কোনো তথ্য যদি ফাঁস করে দেন, তাহলে আরও অনেক বড় বড় রাঘববোয়াল চাপে পড়ে যেতে পারেন। আর এই নিয়ে ভয় রয়েছে তৃণমূলের ওপরতলার নেতাদের মধ্যেও। এমত পরিস্থিতিতে নিজেদের সততার প্রমাণ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরের বিজয়া সম্মিলনী থেকে তিনি অনেক বড় বড় দাবি করে বলেছেন যে, তার সরকার আসার পর নাকি অনেক ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে।

অর্থাৎ নিজেদের স্বচ্ছতার প্রমাণ সামনে আনার চেষ্টা করেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। কিন্তু এক্ষেত্রেও তার মিথ্যাচার সামনে চলে এলো। মিথ্যা কথা বলা ছাড়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর যে আর কোনো কাজ নেই, চুরিতে প্রশ্রয় দেওয়া ছাড়া এই রাজ্য সরকারের যে আর কোনো কাজ নেই, তা আবার স্পষ্ট হয়ে গেল। তবে এই সমস্ত কথা আমরা বলছি না। এই কথা বলছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিল নিয়ে তিনি যে তথ্য তুলে ধরেছেন, তাতে সরকারের চাপ ক্রমশ বাড়ছে।

প্রসঙ্গত, এদিন ভবানীপুরের বিজয়া সম্মেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিলের দাবি নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “মমতা ব্যানার্জির ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিলের জন্য কোনো কৃতিত্ব নেই। ওনার জিরো রোল। উনি মিথ্যে কথা বলছেন।” বিরোধী দলনেতার দাবি, গত 2013 সালে প্রথম কেন্দ্রীয় সরকার রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করার কথা বলে। তবে রাজ্য সরকার তা করতে চায়নি। এক্ষেত্রে 2016 সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সেই কাজ করতে বাধ্য হয় রাজ্য। আর তখনই এই দেড় কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিল হয়ে যায়। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন সততার প্রতীক সাজতে এবং রেশন বন্টন দুর্নীতিতে তাদের কোনো যোগ নেই, এটা প্রমাণ করতে তারা ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিল করেছেন বলে দাবি করছেন। কিন্তু বাস্তবটা যে ভিন্ন, তা বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর এখানেই মুখ্যমন্ত্রীর চালাকি ধরা পড়ে গিয়েছে বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, মিথ্যা লগ্নে জন্ম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। সেই কারণে সব সময় নিজে ক্রেডিট নিতে এবং মিথ্যা কথা বলতেই ব্যস্ত তিনি। এত চুরি হচ্ছে, এত দুর্নীতি হচ্ছে, তারপরেও একবারও মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করছেন না যে, যা হয়েছে, ভুল হয়েছে। বরঞ্চ উল্টে তিনি নিজের সততার প্রতীক, এই প্রমাণ করতে মরিয়া। আসলে যারা চুরি করবে, যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকবে, তারা তো নিজেকে সৎ বলে প্রমাণ করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়বেই। আর সেই কাজটাই মুখ্যমন্ত্রী করছেন। এদিন তার মিথ্যাচার আবার প্রকাশ্যে চলে এলো। তবে এসব করে নিজের সততার প্রমাণ দিতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্য সরকার চেয়েছিল যাতে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের লিংক না হয়। যাতে তারা বেশি করে চুরি করতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাদের সেই কাজ করতে হয়েছে। আর তখন যে রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে, তা নিয়েই এখন ক্রেডিট নেওয়ার কাজ শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ তার সরকারই প্রথম কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যখন রেশনের সঙ্গে আধারের লিঙ্ক করতে বলা হয়, তখন তার বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছিল। তাদের তখন এই বিষয়ে আপত্তি ছিল। আর এখন চুরি যখন ধরা পড়ে গিয়েছে, তখন সততার প্রতীক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিথ্যে নাটক শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে তথ্য দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী যে পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন, তাতে মিথ্যাচারী মুখ্যমন্ত্রীর পর্দাফাঁস হয়ে গেল। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!