এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মোদী বিরোধিতায় ও হিন্দুত্ত্বের জাগরনে এবার ভারত ভ্রমনে প্রবীণ তোগাড়িয়া

মোদী বিরোধিতায় ও হিন্দুত্ত্বের জাগরনে এবার ভারত ভ্রমনে প্রবীণ তোগাড়িয়া


অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করেছিলেন  বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রাক্তন নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়া। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে ধর্মীয় গুরুদের অনুরোধে তিনি এদিন অনশন ভাঙলেন। জানা যাচ্ছে এবার তিনি  হিন্দুত্বের রাজনীতি প্রচার করতে ভারত ভ্রমণ করবেন। উল্লেখ্য তোগাড়িয়ার অনসন ভঙ্গের জন্যে তাঁর সাথে সাক্ষাত করেন পন্থ প্রচারক চিন্তন উপাধ্যায়, পন্থ কার্যনিবাহী যশোবন্ত চৌধুরি এবং পন্থ সম্পর্ক প্রমুখ হরেশভাই ঠক্কর প্রমুখ নেতৃ বৃন্দ। এই তিন নেতৃবর্গ এদিন তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাবও দেন । কিন্তু  কিন্তু বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যনির্বাহী আন্তর্জাতিক সভাপতির পদ ছাড়া এই মুহুর্তে তিনি অন্য কোনো পদ গ্রহণ করবেন না জানিয়ে দেন। বরং তিনি দাবি করেন রথ ভ্রমণ করবেন তিনি।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

কয়েকদিনেই তিন কেজি ওজন কমেছে তোগাড়িয়ার। ধর্মীয় গুরুদের অনুরোধে অনশন ভেঙেছেন তিনি। তাঁর কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারত বলে জানিয়েছেন চিকিত্‍সকেরা। এবার হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির প্রচার করবেন তিনি। উল্লেখ্য অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করেছিলেন প্রবীণ তোগাড়িয়া। তাঁকে বিরত করতে আরএসএসের তিন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে পাঠানো হয়েছিল। তোগাড়িয়ার সঙ্গে দেখা করেন পন্থ প্রচারক চিন্তন উপাধ্যায়, পন্থ কার্যনিবাহী যশোবন্ত চৌধুরি এবং পন্থ সম্পর্ক প্রমুখ হরেশভাই ঠক্কর। ওই তিন নেতাই তোগাড়িয়াকে অনুরোধ করেন অনশনে না বসতে। তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাবও দেন তাঁরা। কিন্তু বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যনির্বাহী আন্তর্জাতিক সভাপতির পদ ছাড়া যে তিনি অন্য কোনও পদ নেবেন না, তা তোগাড়িয়া পরিষ্কার করেই জানিয়ে দেন সঙ্ঘের প্রতিনিধিদের। বরং তিনি দাবি করেন যে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ থেকে সম্পর্কচ্যুত হওয়ার পরে ওই সংগঠনের অন্তত ছ’হাজার কর্মী তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। তাই তাঁদের ছেড়ে পদের লোভে তিনি সঙ্ঘ পরিবারে ফিরবেন না। তিনি এদিন আরো  দাবি করে বললেন যে, রামমন্দির নির্মাণের জন্য গুজরাত থেকে অন্তত ৫৯ জন শহিদ হয়েছেন। অথচ ক্ষমতায় আসার পর সেই শহিদদের ইচ্ছাপূরণের কোনও চেষ্টাই বিজেপি করেনি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পরে বিরোধী থাকাকালীন যেসব দাবি করেছিলেন সেই সমস্ত দাবিকে কোনো গুরুত্বই প্রদান করেন নি। প্রধানমন্ত্রী মোদী’র সাথে তাঁর মতভেদ কোনো ব্যক্তিগত কারণে নয় জানিয়ে তিনি বললেন চাইলে ২০০১ সালে তিনিই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন। কিন্তু তাহলে রাম মন্দির নির্মাণে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া যাবে না বলে তিনি সেই পদ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তোগাড়িয়ার দাবি, তিনিই মোদীকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন। ধর্ষণ জাতীয় অপরাধের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়াতেও তিনি মোদী সরকারের ব্যর্থতাই দায়ী বলে মনে করছেন।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!