এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পঞ্চায়েতে বিপুল জয়েও শান্তি নেই মমতার! বিজেপিকে প্রশিক্ষণ দিয়ে টাইটের ফর্মুলা শুভেন্দুর!

পঞ্চায়েতে বিপুল জয়েও শান্তি নেই মমতার! বিজেপিকে প্রশিক্ষণ দিয়ে টাইটের ফর্মুলা শুভেন্দুর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- চুরি করতে করতে যে জায়গায় এই সরকার চলে গিয়েছে এবং যেভাবে তাদের চুরি ধরা পড়ছে, তারপরেও লজ্জা নেই। উল্টে অনেক বড় বড় কথা বলে নিজেদের সততার প্রমাণ দিতে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক মন্ত্রী জেলে যাচ্ছেন, হেভিওয়েট নেতারা জেলে যাচ্ছেন, কিন্তু তৃণমূলের বড় বড় কথা থামছে না কিছুতেই। তারা ভাবছে যে, বিধানসভা তারা দখল করেছে, সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েতে বেশিরভাগ জায়গায় তৃণমূল ক্ষমতায়। তাই বিজেপি বিরোধী দল হয়েও কিছু করতে পারবে না। কিন্তু অতীতের বাম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে যদি বিজেপিকে গোলাতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাহলে তিনি ভুল করবেন। আর এতদিনে সেটা ভালোই উপলব্ধি করেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি বুঝতে পেরেছেন, রাজ্যের বর্তমান প্রধান বিরোধী দল বিজেপির যিনি বিরোধী দলনেতা রয়েছেন, তার সঙ্গে আর যাই হোক, সেটিংয়ের রাস্তায় হাঁটা যাবে না। তাকে কোনোমতেই ম্যানেজ করা যাবে না। তাই পঞ্চায়েতে বেশিরভাগ আসনে তৃণমূল জিতে নিজেদের স্বেচ্ছাচারিতা এবং চুরির রাস্তা যদি বেছেও নেয়, তাহলে তারা ভুল করবেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবার সমস্ত পঞ্চায়েতে তৃণমূলের চুরি আটকাতে এমন এক পদ্ধতি অবলম্বন করলেন, যাতে অত্যন্ত খুশি বিরোধী শিবির।

প্রসঙ্গত, এদিন হলদিয়ায় বিজেপির যারা পঞ্চায়েতে জিতেছেন, তাদের নিয়ে একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়। যেখানে তাদের প্রশিক্ষিত করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী‌। কিন্তু কেন এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দাবি করছেন যে, বিভিন্ন পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে চুরি করবে এবং একতরফাভাবে সেই পঞ্চায়েত পরিচালনা করবে তৃণমূল। তাই তাকে আটকাতে কিভাবে তাদের চুরি বন্ধ করতে হয় এবং কিভাবে তৃণমূলকে টাইট দিতে হয়, তার জন্যই বিজেপির জন প্রতিনিধিদের এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে বিধানসভায় এবং গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলকে টাইট দিচ্ছেন, পঞ্চায়েতেও বিরোধী দলের টিকিটে জেতা জন প্রতিনিধিদের দিয়ে সেই কাজ করাতে চাইছেন তিনি। অর্থাৎ এক কথায় চোখে চোখ রেখে এবার নীচুতলা থেকেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিজেপি কর্মীদের চাঙ্গা করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

বিজেপির দাবি, পঞ্চায়েতে কারচুপি করে জিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবেছিলেন যে, বিজেপিকে শেষ করে দেওয়া যাবে। কিন্তু অন্য দলকে ম্যানেজ করা সহজ হলেও, বিজেপির সাথে তা করতে পারবেন না তিনি। যেভাবে গোটা রাজ্যে তার চুরি ধরা পড়ছে, এবার পঞ্চায়েতেও সেই চুরি আটকানোর জন্য নিজের দলের কর্মীদের এবং জন প্রতিনিধিদের চাঙ্গা করছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই এত আসনে জিতেও লাভের লাভ কিছুই হলো না মুখ্যমন্ত্রীর। একদম পঞ্চায়েত স্তরে মানুষকে সঠিক পরিষেবা দিতেই হবে। তা না হলেই তৃণমূলের বিড়ম্বনা বাড়বে। বিজেপি কর্মীরা যেভাবে রাস্তায় নামছেন, তাতে চাপে পড়তে বাধ্য রাজ্যের শাসক দল। তাদের চুরি এবার বন্ধ করবেন শুভেন্দুবাবু বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল নেত্রী খুব ভালোমতই বুঝতে পেরেছেন যে, তার সময় শেষ হয়ে এসেছে। যেভাবে চারিদিক থেকে চোর, চোর স্লোগান শুনতে হচ্ছে তার দলকে, তাতে তিনি অত্যন্ত বিরক্ত। যেভাবে একের পর এক নেতা-মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছেন, তাতে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, এই সরকারের আমলে চুরি ছাড়া আর কিছুই হয়নি। দুর্নীতি করতে করতে তারা সব সীমা লংঘন করেছে। তাই এবার নীচুতলাতে তৃণমূলের দুর্নীতি বন্ধ করতে নিজের দলের জনপ্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে টাইটের রাস্তা বেছে নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর বিরোধী দলের সত্ত্বা নিয়ে আগামীর জন্য লড়াই করতে গেলে শুভেন্দুবাবুর পথেই সকলকে আসতে হবে। আর তাহলেই বিদায় দেওয়া যাবে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!