এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মাইনে নেন না, তাই চোর মমতা বলা যাবে না? মুখ্যমন্ত্রীর নাকেকান্না, তীব্র কটাক্ষ বিজেপির!

মাইনে নেন না, তাই চোর মমতা বলা যাবে না? মুখ্যমন্ত্রীর নাকেকান্না, তীব্র কটাক্ষ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-তিনি নাকি সততার প্রতীক! কিন্তু তার সরকারের আমলে একের পর এক মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছে, আর তিনি কিছুই জানেন না, এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? স্বাভাবিক কারণেই বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে চোর, চোর স্লোগান দিচ্ছে। আর বিরোধীরা কেন তাকে চোর বলছে, কেন তাকে অসৎ বলা হবে, তা নিয়েই এবার তেড়েফুড়ে উঠলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ভবানীপুরের বিজয়া সম্মিলনী থেকে তিনি নিজের সততার প্রমাণ দিতে শুরু করলেন। একের পর এক বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করলেন যে, তাকে কেন চোর বলা হচ্ছে? এদিন মুখ্যমন্ত্রী এমন সব মন্তব্য করেছেন, যা শুনে অনেকে বলছেন, বাচ্চাদের মত কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যথেষ্ট পরিনত রাজনীতিবিদ। তার কাছে এই ধরনের খেলো কথা বাংলার মানুষ আশা করে না।

প্রসঙ্গত, এদিন ভবানীপুরের বিজয়া সম্মেলনিতে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই তিনি বলেন, “আমি তো দীর্ঘদিন সাংসদ ছিলাম। এখনও আমি মুখ্যমন্ত্রী। আমি চাইলেই বেতন নিতে পারি। আমার বেতন হতে পারে দেড় লক্ষ টাকার মত। কিন্তু আমি তো তা নিই না। তারপরেও আমরা চোর?” একাংশ বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী খুব ভালো করেই জানেন, তার সরকার কতটা চাপে পড়েছে! রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একবারে নাম করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চোর বলে কটাক্ষ করছেন। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই চরম অস্বস্তির মুখে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। একসময় তাকে সততার প্রতীক হিসেবে রাজ্যজুড়ে উল্লেখ করা হত। কিন্তু এখন তা ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের সঙ্গে এখন চোর শব্দ যুক্ত করেছে বিরোধীরা। আর এসবের কারণেই ধীরে ধীরে মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী, এটা তিনিও বুঝতে পেরেছেন‌। যার কারণে নিজের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতেই তিনি বেতন না নিয়ে নিজে অর্থনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত সৎ চরিত্রের বলেই বোঝানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, নাকে কান্না শুরু করে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তার চালাকি রাজ্যের মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তার কথা ছাড়া দল এবং সরকারের একটি পাতাও পড়ে না। ফলে এত বড় দুর্নীতি হচ্ছে শিক্ষা থেকে শুরু করে খাদ্য দপ্তরের, আর তিনি কিছু জানেন না, এটা হতেই পারে না। শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে তাকে চেপে ধরেছে, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রবল চাপে। তিনি খুব ভালো করে জানেন, আগামী দিনে আরও অনেকের জেল যাত্রা হতে পারে। আর তার দলের দুর্নীতিও প্রকাশ্যে চলে আসবে। তাই বিপদ বুঝেই এখন নিজের সততার প্রমাণ দিতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী। তবে এসব করে লাভ হবে না। চুরি করে থাকলে সাজা পেতে হবে বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মুখ্যমন্ত্রী খুব ভালো করেই উপলব্ধি করছেন যে, ধীরে ধীরে অনেকের জেল যাত্রা হতে পারে। আর যারা এখনও পর্যন্ত জেলে গিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠরা, তারা অনেকেই অনেক গোপন খবর ফাঁস করে দিতে পারেন কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে। আর যেভাবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে চেপে ধরছে, তাতে যে কোনো দিন যে কোনো অঘটন এবং দুঃসংবাদ আসতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তাই গোটা দল চুলোয় যাক, নেতারা বিপদে পড়ুক, সেদিকে এখনও নজর দেওয়ার মত সময় নেই তৃণমূল নেত্রীর। তাকে এখন নিজের সততা প্রমাণ করতে হবে, নিজেকে স্বচ্ছ রাখতে হবে। তাই এখন মানুষের সামনে তিনি বেতন নেন না বলে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার মরিয়া চেষ্টা শুরু করে দিলেন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!