এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ‘সিনিয়র সিটিজেন’- যুব-তৃনমূলের দায়িত্বে থাকায়, তৃনমূলের অন্দরে হাসির ফোয়ারা

‘সিনিয়র সিটিজেন’- যুব-তৃনমূলের দায়িত্বে থাকায়, তৃনমূলের অন্দরে হাসির ফোয়ারা

কেউ বলছে ,তিন কুড়ি পেরিয়েও যুবক তিনি, আবার কেউ , শিং ভেঙে বাছুরের দলে ঢুকে পড়েছেন – কথা হচ্ছে উত্তর কলকাতার তৃনমূলের যুব-সভাপতি জীবন সাহা-র । তাঁর বয়স ৬৪।এই বয়সেও কিভাবে যুব-তৃনমূলের দায়িত্বে তাকে রাখা হয়েছে ,তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যুব তৃনমূলেরই কর্মী -সমর্থকরা।
মুখ্যমন্ত্রীসহ যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হামেশাই দলে যুবা টানতে কোনো যুব নেতার ওপরই দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলে এসেছেন। সেক্ষেত্রে একজন “সিনিয়র সিটিজেন”-এর পদাধিকারী হওয়ায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে। তবে কি উত্তর কলকাতার যুব তৃনমূলের দায়িত্ব সামলানোর জন্য যোগ্য নেতৃত্বের অভাব ? কার্যত ওই এলাকার তৃনমূলের একাংশের দাবি, জীবন বাবু সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট হওয়ায় ৬৪ পেরিয়েও “যুবক” তকমা বহন করছেন তিনি। এই নিয়ে দলের অন্দরে হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছেন জীবন বাবু। এলাকার যুব-তৃনমূলের সদস্যরা টিপ্পনি করে বলে, ওনার কোনো দোষ নেই, উনি এখনো সেইভাবে পাকা পোক্ত নেতা হয়ে উঠতে পারেননি। তাই দলীয় নেতৃত্ব তাঁকে সংগঠনের মূল দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তাই শিঙ ভেঙে বাছুরের দলে ধোকা ছাড়া আর উপায় কি? যদিও তার বিরুদ্ধে যুব তৃনমূলেই একাধিক অভিযোগ রয়েছে। জীবনবাবু যুব সংগঠনের অনেক পুরোনো কর্মীদের পাত্তা দেন না। বিনা কারণেই বাদ দিয়ে দিয়েছেন অনেককে। ফলে যুব তৃনমূলের সভাপতির পদে নতুন মুখ চাইছেন দলীয় কর্মীরাই। সেক্ষত্রে সভাপতি পদে জন্য নাম উঠতে পারে, সঞ্জয় বক্সী-স্মিতা বক্সীর ছেলে সৌম্য বক্সী কিংবা তৃনমূলের আইন সেলের সভাপতি তথা ১৩নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিন্দ্যকিশোর রাউতদের।

এবিষয়ে জীবন বাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি মেজাজ হারিয়ে বলেন, এই প্রশ্ন আমাকে কেন করছেন, আমাকে যাঁরা দায়িত্ব দিয়েছেন তাঁদের জিজ্ঞেস করুন। এইসমস্ত অবান্তর প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নয়। এই প্রসঙ্গে তৃনমূলের অন্দরে অনেকের দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জীবনবাবুর সম্পর্ক ভালো নয়। কারণ ১০০শতাংশ যুবা টানতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন সভাপতি পদে নতুন মুখ আসুক । তার জেরেই গত কালিপুজোয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এলাকায় পূজো উদ্বোধনে এলেও দেখা যায়নি জীবন বাবুকে।

সিনিয়র সিটিজেনের যুব -তৃনমূলের সভাপতিত্বে থাকায় বিরোধীদের মুখেও হাসি ফুটেছে। তাঁদের দাবি , তৃনমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব বোধহয় সুযোগ্য লোক পাচ্ছেন না। তাই ৬৪ পেরোনো নেতাকে ‘ইয়ংম্যান’ সাজাতে বাধ্য হয়েছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!