এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আন্দোলনের নামে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন-বাস জ্বালিয়ে দিয়ে গোটা রাজ্যেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে

আন্দোলনের নামে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন-বাস জ্বালিয়ে দিয়ে গোটা রাজ্যেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে


 

সংসদের দুই কক্ষে ইতিমধ্যেই পাস হয়ে গিয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল। যার ফলে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরও পড়ে গিয়েছে সেই বিলে। তবে এই বিল নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজ্য। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলা বলে পরিচিত পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন প্রান্ত ইতিমধ্যেই বিক্ষোভের আগুনে জ্বলতে শুরু করেছে।

সূত্রের খবর, শনিবার এই নাগরিকত্ব ইস্যুতে লালগোলার কাছে কৃষ্ণপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা পাঁচটি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ফলে এদিন সম্পূর্ণ ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। কিন্তু কবে থেকে এই ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হবে! তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।

প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব বিল চালু হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আগুন জ্বলতে শুরু করেছে। জানা যায়, আগামী 16 ডিসেম্বর ওমরপুর ইতিমধ্যেই বড় জমায়েত করতে চলেছে আন্দোলনকারীরা। সব মিলিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলায় এই নাগরিকত্ব বিল নিয়ে যেন ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে গোটা মুর্শিদাবাদ জেলার মধ্যে সবথেকে বেশি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জঙ্গিপুর মহকুমায়। নিমতিতা, পোড়াডাঙ্গা, নওপাড়া মহিষাসুর স্টেশন থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্টেশনে ভাঙচুর চালাতে শুরু করেছেন আন্দোলনকারীরা।

শুধু তাই নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি বাসে আগুন লাগাতেও দেখা যায় আন্দোলনকারীদের। বেলডাঙা স্টেশনে বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা। বাদ যায়নি স্থানীয় পুলিশ স্টেশনগুলোও। সামশেরগঞ্জ থানা লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা। আর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়ে যাওয়ার পর বাংলায় তা চরম আকার ধারণ করায় এখন প্রবল আতংকিত সাধারণ মানুষ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের দাবি, এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হওয়ার পর বাংলায় যে বিক্ষোভ চলছে, তা তৃণমূল পেছন থেকে উস্কানি দিয়ে করাচ্ছে। যদিও বা রাজ্য প্রশাসন কেন গন্ডগোল সামলাতে পারছে না! তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের জয়ন্ত দাস বলেন, “কাঠমানি নিয়ে ওদের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছে। সেকারণে হামলা হয়েছে।”

অন্যদিকে সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, “মানুষের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। রাজ্য প্রশাসন মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারছে না।” তবে বিরোধীদের এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র অশোক দাস। তিনি বলেন, “সিপিএম এবং কংগ্রেস যৌথভাবে বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল। ওদের উস্কানিতেই এসব হচ্ছে। ঘটনা শুনে আমি এবং মইনুল হাসান ইসলামপুরে গিয়েছিলাম। আমাদের গাড়িতে ওরা চড়াও হয়েছে।”

তবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে যে দাবিই তোলা হোক না কেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদে পাশ হওয়ার পর যেভাবে বাংলায় তা নিয়ে উত্তাপ, বিক্ষোভ এবং অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ছে, তা যে ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করবে, সেই ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করতে শুরু করেছে সকলেই। কবে মিটবে এই অশান্তির আগুন! এখন সেদিকেই নজর থাকবে বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!