বর্তমানে করোনা ভাইরাসকে নিয়ে চিন্তিত সকলেই। প্রত্যেকে এই ভাইরাসকে কি করে বিদায় জানানো যাবে, তা নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে রাজনীতিকে দূরে রাখছেন সকলে। রাজনৈতিক কোনো খবর প্রকাশিত হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ পর্যন্ত দেখাচ্ছেন না কেউ। কেননা এখন সকলেই চাইছেন, নিজেদের জীবন বাঁচাতে। তবে এমন পরিস্থিতিতে বাংলায় যে আবার খুনের ঘটনা ঘটবে, তা সত্যিই কল্পনা করা যায়নি।

কিন্তু করোনা ভাইরাস সংকটকালীন মুহূর্তে এবার ফের খুন হতে হল এক তৃণমূল কর্মীকে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার বালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চন্দ্রসিংহ বাটিতে খুন হন বাক্কার শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মী। জানা যায়, ধারালো অস্ত্র দিয়েই এই তৃণমূল কর্মীকে মারা হয়েছে। তবে তিনি আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথেই প্রথমে তাকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরবর্তীতে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।

আর এরপরেই কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যু হয় এই তৃণমূল কর্মীর। কিন্তু ঠিক কী কারণে 35 বছর বয়সী এই তৃণমূল কর্মীকে খুন করা হল? ব্যক্তিগত কারণ, নাকি এর পেছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে! এখন সেই রহস্য উন্মোচনেই ব্যস্ত সকলে। বস্তুত, গত মঙ্গলবার রাতে নিহত তৃণমূল কর্মী নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। আর সেই সময়ই কয়েকজন দুষ্কৃতী তাকে ঘিরে ধরে অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

একাংশের মতে, তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই নিহত ওই তৃণমূল কর্মীর বাবা বেশ কিছু ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে, সাদা শেখ, মফাই শেখ, সুভাষ শেখ, নিজাম শেখ, এরফুল শেখ, কামরেজ শেখ, দিপু বিবি ও বিপুল শেখ। তাহলে কি তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণেই খুন হতে হল এই তৃণমূল কর্মীকে?

এদিনই প্রসঙ্গে বালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান বকুল ঘোষ বলেন, “ওদের মধ্যে দীর্ঘদিনের ঝামেলা ছিল। সেই ঝামেলাতেই খুন হতে হয়েছে এর সঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনো সম্পর্ক নেই।” তবে লকডাউনের এই মুহূর্তে যেভাবে এক তৃণমূল কর্মীকে খুন হতে হল, তা নিয়ে এখন মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। এখন পুলিশি তদন্তে এই খুনের কারণ হিসেবে কি উঠে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।