এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ দলেরই অন্য নেতার, বাড়ছে তীব্র চাঞ্চল্য

তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ দলেরই অন্য নেতার, বাড়ছে তীব্র চাঞ্চল্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দখলদারীর রাজনীতিতে কোনভাবেই কম যায়না কেউ। আর এই দখলদারীর রাজনীতি কখনো কখনো নিজের ঘরেই ভাঙন ধরায়। এরকমই ছবি স্পষ্ট হয়ে উঠল পূর্ব বর্ধমানেরঞ্জামালপুর থানার পাহাড়পুর অঞ্চলে। দলের এক তৃণমূল নেত্রী অন্য এক নেতার জমি জোরজবরদস্তি দখল করে নেওয়ার জেরেই শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। আর এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর। চলছে দ্দদোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পালা। সূত্রের খবর, পূর্ব বর্ধমান জামালপুর থানার পাহাড়পুর গ্রামের তৃণমূল নেত্রী শিখা রায় দলেরই আর এক তৃণমূল নেতা কাশীনাথ সরকারের জমিতে লাল ঝান্ডা পুঁতে জমি দখল করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে।

এই ঘটনায় এলাকার তৃণমূল শিবিরে শুরু হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, নেত্রীর এধরনের কাজ দল কিন্তু সমর্থন করেনি। অন্যদিকে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন, জমির মালিক কাশীনাথ সরকার তাঁকে এবং তাঁর ছেলেকে বারংবার হেনস্থা করার বদলা নিতেই এই লাল কাপড়ের ঝান্ডা লাগিয়েছেন। কিন্তু লাল ঝান্ডা কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন, বিপদ সংকেত দেওয়ার জন্যই তিনি লাল ঝান্ডা লাগিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, 1989 সালের পাহাড়পুর গ্রামের ফকির বাগদির কাছ থেকে কাশীনাথ সরকারের বাবা জৌৎসবুল মৌজায় 333 দাগের একটি 69 শতকের জমি কিনে নেন। এ সম্পর্কে কাশীনাথ সরকার তাঁর কাছে সরকারি নথি থাকার দাবি করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি তিনি অভিযোগ তুলেছেন, 70 বছরের পুরোনো তাঁর ওই জমিটি নিজের বলে তৃণমূল নেত্রী দাবি করেন এবং তাঁর ছেলে জোরজবরদস্তি রাতের অন্ধকারে ট্রাক্টর চালিয়ে ওই জমিতে চাষাবাদ শুরু করেছেন। পাশাপাশি লাল ঝান্ডাও পোঁতেন জমিতে। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে তীব্র দলীয় কোন্দল। অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রীর এই আচরণ কোনভাবেই মানছেনা দল। এ প্রসঙ্গে চকদিঘীর পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূল নেতা গৌড়সুন্দর মন্ডল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, তৃণমূল নেত্রীর কাজকর্মের জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে এব্যাপারে তীব্র কটাক্ষ করেছেন এলাকার বিজেপি নেতা জিতেন ডোকাল। ব্যাপক কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, তৃণমূল আগের জমানা ফিরিয়ে আনতে চাইছে লাল ঝান্ডা পুঁতে।

সেক্ষেত্রে তাঁর কটাক্ষের নিশানা যে বাম জমানা, তা বুঝতে কোনো সন্দেহ নেই। অন্যদিকে স্থানীয় সিপিএম নেতাদের দাবি, তাঁরা কখনো এধরনের কাজ করেননি। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, জমির মালিক কাশীনাথ সরকার ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর। এলাকাতেও ব্যাপক উত্তেজনা দেখা গিয়েছে। দলের মধ্যেই এ ধরনের ঘটনা সাধারণ মানুষ যে খুব একটা ভাল চোখে দেখবেন না সে ব্যাপারে একমত তৃণমূল শিবির। আপাতত এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে, সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!