এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের মত আদর্শহীন নয়, বিজেপি মানেই শৃঙ্খলা! প্রমাণ করলেন অভিজিৎ!

তৃণমূলের মত আদর্শহীন নয়, বিজেপি মানেই শৃঙ্খলা! প্রমাণ করলেন অভিজিৎ!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-কথায় কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক বড় বড় ভাষণ দেন। তিনি এমন একটা ভাব দেখান যে, তার দলের মত বড় দল যেন আর কিছু নেই। কিন্তু এমন দল যে পশ্চিমবঙ্গেই সীমাবদ্ধ, অথচ নামেই সর্বভারতীয় দল, কিন্তু নির্বাচন কমিশনের খাতায় তারা আঞ্চলিক দল হিসেবেই গণ্য হয়। সেসব পরের কথা। তবে যে তৃণমূল আদর্শের কথা বলে, তাদের দলে আদর্শ, ন্যায়, নীতি যে কতটা আছে, সেটা গোটা রাজ্যের মানুষ জানে। যেখানে পুরনো নেতারা সম্মান পায় না, দুদিন হলো অন্য দল থেকে আসা নেতাদের ওপর বেশি ভরসা করেন দলনেত্রী থেকে সেনাপতি, সেই দলের আদর্শ নিয়ে যত কম বলা যায়, ততই ভালো। কিন্তু অপরদিকে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে এত ভালো ফলাফল করার পরেও, আগের থেকে ভালো জায়গায় আসার পরেও, তাদের দলে যারা যারা যোগদান করেছে, তাদের কিন্তু আদর্শ শেখাতে বাধ্য করেছে গেরুয়া শিবির। দলে যোগদান করেই কাউকে বড় দায়িত্ব বিজেপি দিয়ে দেয়নি। অতীতেও সেটা প্রমাণিত হয়েছে। আর ভবিষ্যতেও সেটা প্রমাণিত হবে। আজকে কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় জনতা পার্টিতে যুক্ত হয়ে এমন একটি কথা বললেন, যারপর যারা বিজেপি করেন, যারা বিজেপির মতাদর্শের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন, তারা গর্ববোধ করছেন। কিন্তু কি বললেন তিনি?

প্রসঙ্গত, এদিন ভারতীয় জনতা পার্টিতে যুক্ত হন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন যে, অভিজিৎবাবুর মত ব্যক্তিত্বকে বিজেপি গ্রহণ করেছে, তা অবশ্যই সাধুবাদ জানানোর মত। কিন্তু দেখে শুনে সকলকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। তবে এক্ষেত্রে শৃঙ্খলাবদ্ধ সৈনিকের মতই প্রথম দিন বিজেপির পতাকা নিয়ে বড় বার্তা দিয়েছেন এই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার স্পষ্ট কথা, তিনি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন‌। কিন্তু তিনি শৃঙ্খলাবদ্ধ সৈনিকের মতই কাজ করবেন। ভারতীয় জনতা পার্টিতে যুক্ত হলেই যে কেউ বড় পথ পেয়ে যাবে না, শৃঙ্খলা এবং আদর্শ মেনে কাজ করাই যে এই দলের প্রধান উদ্দেশ্য, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া এই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর এর ফলেই গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা বলছেন, যারা ভবিষ্যতে কিছু পাওয়ার আশায় বিজেপিতে আসবেন বলে মনস্থির করেছেন, তারা কিন্তু মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। বিজেপির কাছে সবার আগে দেশ। তাই দেশকে প্রাধান্য দিয়ে, দেশের মানুষকে প্রাধান্য দিয়েই ভারতীয় জনতা পার্টি কাজ করে। আর সেটা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় খুব ভালোমতো বুঝেছেন বলেই তিনি এই ধরনের মন্তব্য করেছেন।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপিতে যারা এখন যুক্ত হচ্ছেন, তারা সাময়িক সুবিধার কথা ভাবছেন না। তারা ভাবছেন, দেশের স্বার্থ দশের স্বার্থের কথা। সেই কারণে তাপস রায়ের মত বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ, যিনি তৃণমূলের মত দলে থেকেও এতদিন সততা নিয়ে রাজনীতি করেছেন, সেই ব্যক্তিও ২৩ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে যুক্ত হয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনিও অভিজিৎ গাঙ্গুলীর মত সেই একই কথা বলেছেন যে, দল যে দায়িত্ব দেবে, সেই দায়িত্ব তিনি পালন করবেন। স্বাভাবিক ভাবেই বোঝাই যাচ্ছে যে, বিজেপি কিন্তু নিজেদের মধ্যে মতান্তর থাকলেও মনান্তরে বিশ্বাসী নয়। হয়ত কোনো বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বৈরথ হতেই পারে। কিন্তু সেটা এমন পর্যায়ে যাবে না যে, আঞ্চলিক দল তৃণমূলের সর্বভারতীয় নেতাদের মত তা নিয়ে প্রকাশ্যে খন্ডযুদ্ধ লেগে যাবে। তাই প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও আজ বিজেপিতে যুক্ত হওয়ার সাথে সাথেই দলের শৃঙ্খলাবদ্ধ সৈনিক হিসেবে দল যে দায়িত্ব দেবে, সেটা বিজেপির ওপরেই ছেড়ে দিলেন। আর এটাই একজন সঠিক রাজনীতিবিদের প্রধান দায়িত্ব এবং কর্তব্য বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!