এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জনগর্জন নাকি অশ্বডিম্ব? ফের ঘুম উড়লো মমতার! সৌজন্যে দিলীপ!

জনগর্জন নাকি অশ্বডিম্ব? ফের ঘুম উড়লো মমতার! সৌজন্যে দিলীপ!


 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী শুধুমাত্র ডায়লগ দিতে জানেন। কাজের কাজ তো তার নেই। কাজের কাজ থাকলে আর যাই হোক সন্দেশখালির মত ঘটনা নিয়ে তিনি বিচলিত হতেন। এখন আবার তার সমস্ত মনোযোগ করেছে ব্রিগেডের সভার দিকে। কি করে তিনি ব্রিগেডের সভাতে বাজিমাত করবেন, কি করে তিনি সকলের নজর কাড়বেন, কি করে খবরের শিরোনামে থাকবেন, কি করে সেই সভাতে ভিড় হবে, এটাই তৃণমূল নেত্রীর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু রাজনীতিবিদ হিসেবে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত ছিল। এর আগেও তো ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে অনেক নেতা নেত্রীকে নিয়ে এসে এই ব্রিগেডে সভা করেছিলেন, প্রচুর জমায়েত করেছিলেন। কিন্তু তারপর ফল কি হয়েছে, সেটা গোটা রাজ্যের মানুষ দেখেছে। আর এবার অন্ধ বিজেপির বিরোধিতা করতে গিয়ে আবার একটা ব্রিগেডের সভা সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপদের কারণ হবে না তো? এদিন এই ব্যাপারে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ যে কথা বললেন, তারপর রাজনৈতিক মহলের একাংশও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন তৃণমূলের এবারের এই ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে।

প্রসঙ্গত, তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করছে যে, বাংলাকে বঞ্চনা করা হচ্ছে, ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। সেই জন্য তারা ব্রিগেডে সভা করছেন। আর সেখানে মানুষ গর্জে উঠবে। তাই এই সভার তারা নাম দিয়েছেন জনগর্জন সভা। কিন্তু মানুষ যে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই গর্জে উঠছে, এটা তারা হয়ত অনুভব করতে পারছেন না। তাই এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ অতীতের রাজনৈতিক চিত্র স্মরণ করিয়ে দিয়ে বড় বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রীর উদ্দেশ্যে। এদিন তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, এর আগেও গর্জন করে কি লাভ হয়েছে, সেটা সকলে দেখেছে। উল্টে 12 টি সিট কমে গিয়েছে। এবারেও এরকম গর্জনে ফল উল্টো হয়ে যেতে পারে। আর এখানেই একাংশ বলছেন, এবার ২০১৯ এর থেকেও খারাপ পরিস্থিতি। তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর মানুষ বিরক্ত। তাই দিলীপ ঘোষের কথাই হয়ত সত্যি হতে চলেছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, লোকসভা ভোটের আগে এই সন্দেশখালি গোটা রাজ্যের মানুষের তৃণমূল সম্পর্কে যে ভাবমূর্তি ছিল, তা সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছে। এমনিতেই তৃণমূলের ওপর কর্মসংস্থান না থাকা, শিল্প না স্থাপন করা, দুর্নীতি করা এই সমস্ত বিষয় নিয়ে মানুষ বিরক্ত ছিল। কিন্তু তার মধ্যে সন্দেশখালিতে মা-বোনেদের আর্তনাদ সকলের মনেই তৈরি করেছে আতঙ্ক। সকলে একটাই কথা বলছেন যে, অবিলম্বে এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে। তাই সেদিক থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা বলে নিজেদের চুরি ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা ভোটের আগে একটা রাজনৈতিক চমক দিতেই এই ব্রিগেড সভা করছেন, সেটা সকলেই বুঝতে পেরেছেন। আর সেই কারণেই জনগর্জন নাম দিয়ে তৃণমূল সভা করলেও, তা বুমেরাং হতে পারে। বরঞ্চ রাজ্যজুড়ে এইরকম কর্মসূচি নিয়ে ভোট বাক্সে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যেতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!