এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > ত্রিপুরায় তৃণমূলের তৎপরতা শুরু হতেই, দলের সংগঠনকে ধরে রাখতে বিশেষ পদক্ষেপ কংগ্রেসের

ত্রিপুরায় তৃণমূলের তৎপরতা শুরু হতেই, দলের সংগঠনকে ধরে রাখতে বিশেষ পদক্ষেপ কংগ্রেসের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক জয়লাভের পর দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। আর সেই উদ্দেশ্যেই এবার ত্রিপুরার দিকে হাত বাড়িয়েছে তৃণমূল। সম্প্রতি, তৃনমূলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব গিয়েছেন ত্রিপুরায়। গত সোমবার ত্রিপুরা গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক অবিনাশ পান্ডে ও ছত্রিশগড়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টি এস সিংহ দেও ত্রিপুরা গিয়ে দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। দলে যেন কোনোভাবেই ভাঙ্গনা না দেখা দেয়, সে বিষয় নিয়ে বিশেষ আলোচনা চলেছে। আবার তৃণমূলের সঙ্গে জোট হবে কিনা? সে বিষয়েও আলোচনা চলছে।

সম্প্রতি যেভাবে ত্রিপুরায় বাড়তে শুরু করেছে তৃণমূল, তাতে কোনঠাসা অন্যান্য বিরোধীরা। কংগ্রেসে যাতে কোনোভাবেই ভাঙ্গন না দেখা দেয়, তাই দলের কর্মীদের সতেজ রাখতে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ত্রিপুরায় আসার অনুরোধ করা হয়েছে। কংগ্রেসের একাধিক নেতৃত্বকে দ্রুত পাঠানো হবে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে ত্রিপুরাতে কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিক যোগদান করেছেন তৃণমূলে। জানা যাচ্ছে, একাধিক কংগ্রেস নেতা যোগদান করতে পারেন তৃণমূলে। অনেকেই যোগাযোগ রাখতে শুরু করেছেন। এই অবস্থায় দলের ভাঙ্গন রোধ করতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ বিশ্বাসকে ফোন করেছেন শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতা কে সি বেনুগোপাল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে আইপ্যাক সংস্থার ২৩ জন সদস্যকে গৃহবন্দি করা হলে তাদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ বিশ্বাস। তাঁর চেষ্টাতেই তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। যা দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন যে, ত্রিপুরার কংগ্রেস নেতৃত্বের একটা বড় অংশ তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন। এদিকে পীযূষ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ত্রিপুরা দখলে যেভাবে তৎপর হয়ে উঠেছে তৃণমূল, কংগ্রেসের মধ্যে তার সিকিভাগ চেষ্টাও দেখা যাচ্ছে না।

যুবকদের জন্য তৃণমূলের সুনির্দিষ্ট কৌশল, পিকের সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে আইটি সেল তৈরি করার মতো পদক্ষেপ, অনন্য মাত্রা এনে দিয়েছে তৃণমূলকে।কংগ্রেস দলের মধ্যে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে, যতটা হওয়া গরম করতে পেরেছে তৃণমূল, অন্যান্য বিরোধিরা তা করতে পারছে না। এ কারণে বিজেপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে আসছে তৃণমূল। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, ইতিমধ্যে বিজেপিকে ভাঙতে শুরু করেছে তৃণমূল। কিন্তু বাম, কংগ্রেস পরিকল্পনার অভাবের কারণে সেই পরিসর দখল করতে পারছে না।

আর এরপরই ত্রিপুরাতে গিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক চলল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের। ঘাসফুলের হাওয়াতে যেন কংগ্রেসে ভাঙ্গন না ধরে, সে চিন্তা রয়েছে দলের। এ কারণে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বারবার করে ত্রিপুরা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের কর্মী-সমর্থকদের মনোবল অটুট রাখতে। কারণ, একে বিজেপির চাপে যথেষ্ট দুর্বল হয়ে পড়েছে ত্রিপুরার কংগ্রেস সংগঠন। এবার তৃণমূলের চাপে তাতে যদি আরও ভাঙ্গন ধরে, তবে আরও বড় সমস্যায় পড়তে পারে কংগ্রেস। এ কারণেই এই বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে, রাজনৈতিক মহলের অনুমান।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!