ত্রিপুরাতে শূন্যহাতে ফিরেও কংগ্রেস ও তৃণমূলের তরজা অব্যাহত! জাতীয় বিশেষ খবর রাজ্য March 6, 2018 তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে কংগ্রেস হাত না মেলানোতেই ত্রিপুরায় অক্সিজেন পেয়েছে বিজেপি, এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একসঙ্গে লড়লে কোনোভাবেই জায়গা পেতো না বিজেপি, আক্ষেপের সুরে এমনটাই বলেছেন তিনি। ত্রিপুরা কংগ্রেসের একাংশ বিষয়টিকে সমর্থন করেছে বলেও সূত্রের খবর। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীকে পাশে বা প্রচারে না পাওয়ার আক্ষেপও রয়েছে তাদের বলে জানা গেছে। ত্রিপুরায় ২০১৩ এর বিধানসভা ভোট কংগ্রেস মোট ৯ টি আসন পেয়েছিলো, একটি আসন গিয়েছিল তৃণমূলের ঝুলিতে। কিন্তু এইবারের নির্বাচনে শুন্য আসন প্রাপ্তি ঘটে তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্ষেপের সুরে সংবাদ মাধ্যমকে জানান আসন রফা করতে চেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু রাজি হননি রাহুল গান্ধী। জানা গেছে ত্রিপুরা কংগ্রেসের একাংশ রাহুলের ওপর এই দোষের বোঝা মেনে নেয় নি আবার নিজেদের দায়ও এড়াতে পারছে না তাঁরা। ত্রিপুরা প্রদেশ নেতৃত্ত্বের বক্তব্য, আমরা হাই কম্যান্ডের কাছে জোটের পক্ষেই সওয়াল করেছিলাম। শর্ত ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখানে জোটপ্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে আসতে হবে। কিন্তু তার পর হাই কম্যান্ডের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কী কথা হয়েছে, জানি না। হাই কম্যান্ড থেকে পরে আমাদের সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের জোট গঠনের উদ্দেশ্যে একটি বৈঠকও বসে তৎকালীন কংগ্রেস বিধায়ক গোপাল রায়ের বাড়িতে। উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক সব্যসাচী দত্ত। কিন্তু সব্যসাচী বাবু যতগুলি আসন দাবি করেছিল কংগ্রেস তা ছাড়তে রাজি ছিল না বলে এই জোট গঠন হয়নি বলে এক বিশেষ সূত্রের খবর। অন্যদিকে তৃণমূলের বিশেষ সূত্রের খবর, ত্রিপুরায় কংগ্রেস তলে তলে সিপিএমের সাথে হাত মেলানোর চেষ্টা চালিয়েছিল, তাই রাহুল গান্ধীর সাথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাত না মেলানোর অনুরোধ জানান সব্যসাচী দত্ত। গোপালবাবু জানান, এখানে কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের উদ্যোগ আমিই প্রথম নিয়েছিলাম। সব্যসাচী দত্তর সঙ্গে আমিই কথা বলি। আমি দলকে বুঝিয়েছিলাম, এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সংগঠন নেই। ওদের সঙ্গে জোট হলে আমাদের ক্ষতি হবে না। কিন্তু রাজ্যের সব নেতাকে আমরা জোটের পক্ষে এক জায়গায় আনতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা। কেউ কেউ চাননি এই জোটটা হোক। এখন কী আর করা যাবে? ফলাফল যেটাই হয়েছে মেনে নিতে হবে দলকে। আমি নিজেও পরাজিত হয়েছি। আমারও খারাপ লাগছে। তবে এতে রাহুল গান্ধী বা এআইসিসির কিছু করার নেই। বাংলার কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য মন্তব্য করেন, একদিকে ভালোই হয়েছে জোট হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে জোট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন কংগ্রেসকে দুর্বল করে দিয়েছেন। সেই রকম ত্রিপুরায়ও কংগ্রেসের একই অবস্থা করতেন। আপনার মতামত জানান -