ঘোষিত হল ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর নাম, রইল বড়সড় চমক জাতীয় বিশেষ খবর March 6, 2018 ২৫ বছরের বাম জামানার অবসান ঘটিয়ে ত্রিপুরাতে ঐতিহাসিক জয় পেয়ে সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপি। ৬০ আসনের বিধানসভায় ভোট হয় ৫৯ টি আসনে, আর সেই ৫৯ আসনের মধ্যে ৪৩ টি আসনই জিতে নেয় বিজেপি ও জোটসঙ্গী আইটিএফপি। কিন্তু এত বড় জয় পেলেও দড়ি টানাটানি শুরু হয়ে যায় মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে। ভেসে ওঠে একাধিক নাম। এই দুই পদের মূল দাবিদার শেষপর্যন্ত হয়ে ওঠেন ৪ জন, বিজেপি রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেব, আইপিএফটি সভাপতি এন সি দেববর্মা, কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেস হয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দীর্ঘদিনের দুই প্রধান বিরোধী মুখ সুদীপ রায়বর্মন ও রতনলাল নাথ। কিন্তু বিজেপি সূত্রেই খবর ছিল মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সবথেকে এগিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেবই। আজ আগরতলাতে বিজেপি নেতা রাম মাধব ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ির উপস্থিতিতে ত্রিপুরা বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ত্রিপুরায় বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা তথা ত্রিপুরার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন বিপ্লব কুমার দেব। মোটামুটি প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা হলেও বড়সড় চমক থাকে উপমুখ্যমন্ত্রী নাম নিয়ে। সবাইকে পিছনে ফেলে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয় জিষ্ণু দেববর্মনকে। যদিও জিষ্ণুবাবু এখনো বিধায়ক হিসাবেই নির্বাচিত হন নি। চড়িলাম কেন্দ্রে তিনি বিজেপি প্রার্থী, কিন্তু সেখানে বামপ্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় নির্বাচন হবে আগামী ১২ ই মার্চ। যদিও বিজেপির বিশ্বাস, উপজাতি অধ্যুষিত চড়িলাম থেকে অনায়াসেই জিতে যাবেন জিষ্ণু দেববর্মন। পরিষদীয় নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়ের কাছে সরকার গঠনের দাবি জানান বিপ্লব দেব। তবে বৈঠকে মন্ত্রীদের দফতর নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। আপনার মতামত জানান -