এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এইমস এর চিকিৎসকের, জোর আতঙ্ক

করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এইমস এর চিকিৎসকের, জোর আতঙ্ক


করোনার থাবায় ফের মৃত্যু হলো এক বর্ষীয়ান চিকিৎসকের। গোটা দেশ যখন চিকিৎসকদের আশায় করোনাকে জয় করতে ব্রতী হয়েছে তখন পুণরায় দেশে করোনায় মৃত্যু হলো চিকিৎসক জিতেন্দ্রনাথ পান্ডের।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। জানা গেছে গত শনিবার করোনার করাল থাবা তাঁকে গ্রাস করে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে জিতেন্দ্রনাথ বাবু অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স অর্থাৎ এইমস – এর পালমনোলজি বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন।এই বিভাগের অন্যতম অবসরপ্রাপ্ত এই চিকিৎসক দিল্লীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের অধীনে পরামর্শদাতা হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। অবসরপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও এই অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন এমনটা জানা যায় তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে।

সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর এদিন এইমস – এর ডিরেক্টর ডাক্তার রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন,’মঙ্গলবার ডাক্তার পাণ্ডে ও তাঁর স্ত্রীর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁদের উপসর্গ খুব সামান্য ছিল। বাড়িতেই আইসোলেশনে ছিলেন তাঁরা। আমরা প্রতিদিন নজর রাখছিলাম। শনিবার রাতে ডিনার করে শুতে যান ডাক্তার পাণ্ডে। রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। সম্ভবত ঘুমের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়াও সূত্রের খবর মারফত জানা গেছে গত শুক্রবার এইমস – এর এক ক্যান্টিন কর্মীরও মৃত্যু হয় করোনা আক্রান্ত হয়ে ফলে হাসপাতালের সাথে যুক্ত কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।সূত্রের খবর তাঁদের অভিযোগ গত এক মাস ধরে সুরক্ষা নেওয়ার জন্য যে নির্দেশ কর্মীদের দেওয়া হয়েছে তার মান্যতা কেউই দিচ্ছে না। ফলত এমন পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে সবাইকে। ক্রমাগত অনুরোধেও কেউ সুরক্ষার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিচ্ছে না বলেই অভিযোগ জানিয়েছেন তারা এমনটাই সূত্রের মারফত জানা গেছে।

জানা গেছে দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর পর থেকে বহু চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী মারা গেছে করোনা আক্রান্ত হয়ে। সংক্রমণ এতটাই ছড়িয়ে যায় যে হিন্দু রাও, বাবু জগজীবন রাম মেমোরিয়াল হসপিটাল এবং দিল্লি ক্যান্সার ইনস্টিটিউট সিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এমনটাই সূত্রের খবর।

অন্যদিকে জানা গেছে এইমস হাসপাতালের সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়। ফলত বেশ কিছু পুলিশ কর্মীকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে এইমস – এ করোনার সংক্রমণ এতটাই উদ্বেগ তৈরি করেছে যে লকডাউনের পর প্রথমবারের জন্য এইমস – এর আউটডোর পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।বিষয়টি নিয়ে অভিযোগের ঝড় উঠেছে রেসিডেন্স ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!