এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ক্ষমতা দখলের টানাপোড়েন উত্তরবঙ্গে,শক্তি বাড়িয়ে ট্রাকে ফিরছে তৃণমূল, পিছিয়ে নেই বিজেপিও জেনে নিন

ক্ষমতা দখলের টানাপোড়েন উত্তরবঙ্গে,শক্তি বাড়িয়ে ট্রাকে ফিরছে তৃণমূল, পিছিয়ে নেই বিজেপিও জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –সম্প্রতি 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে বাংলার রাজনৈতিক মঞ্চে চলছে সাজো সাজো রব। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর দেখা যায় উত্তরবঙ্গ জেলা জুড়ে গেরুয়া শিবিরের রমরমা। অর্থাৎ একেবারে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যেতে দেখা যায় সেই সময় ঘাসফুল শিবিরকে। কিন্তু এবার বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে আবারও উত্তরবঙ্গে শক্তি বাড়াতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। একের পর এক রাজনৈতিক দলে ভাঙ্গন ধরাচ্ছে তাঁরা এবং যথারীতি অন্যের ঘর ভাঙিয়ে নিজেদের ঘর পূর্ণ করছে ঘাসফুল শিবির।

এই অবস্থায় উত্তরবঙ্গের কংগ্রেস, সিপিএম ও গেরুয়া শিবির প্রাথমিকভাবে কিছুটা হতোদ্যম হয়ে গেলেও ঘাসফুল শিবির কিন্তু আবার উঠে পড়ে লেগেছে নিজেদের সংগঠনের জোর বাড়াতে বলে জানা যাচ্ছে। করোনা আবহকে সঙ্গী করেই উত্তরবঙ্গে বিরোধী শিবিরে ক্রমাগত থাবা বসিয়েছে ঘাসফুল শিবির। যার ফলে সিপিএম, বিজেপি এবং কংগ্রেস ছেড়ে প্রায় 1400 জন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে সাম্প্রতিক খবর, কংগ্রেস শিবির থেকে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে।

তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, আনলক 1 এবং 2 পর্ব থেকে দলনেত্রীর নির্দেশে তাঁরা আমজনতার পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি সংগঠনকে মজবুত করার কাজে নেমেছে। যার ফলে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে শিবমন্দির এলাকা, বিধাননগর, খড়িবাড়ি, নকশালবাড়ি এলাকায় কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপি থেকে প্রায় 500 জন ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন বলে খবর। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট মাসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে আরো দুইশ জন করে মোট 400 জন তৃণমূল শিবিরে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।

এছাড়াও সম্প্রতি 5 ই জুলাই চম্পাসারি এলাকায় সিপিএম এবং বিজেপি ত্যাগ করে আরও আড়াইশো জন ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার জানিয়েছেন, করনা পরিস্থিতিতে দলের নেতাকর্মীরা ঘরে বসে না থেকে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর জনদরদি প্রতিচ্ছবি সাধারণ মানুষকে খুশি করতে পেরেছে বলে মনে করা হচ্ছে এবং সে কারণেই বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস ত্যাগ করে দলে দলে নেতাকর্মীরা স্বইচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন রঞ্জন সরকার আরও দাবি করেছেন, প্রতিটি দল থেকে আরও কর্মী-সমর্থক দলে আসার জন্য যোগাযোগ করছেন প্রতিনিয়ত। অন্যদিকে তৃণমূল ছাড়াও নিজেদের সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাবার কাজে তৎপরতা দেখাচ্ছে গেরুয়া শিবির। এদিন খড়িবাড়ি ব্লকে রীতিমতো আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী যোগ দিলেন গেরুয়া শিবিরে বলে জানা যাচ্ছে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতি কাঞ্চন দেবনাথ, রানিগঞ্জ-বিন্নাবাড়ি মণ্ডলের সভাপতি ভোলানাথ সিদ্ধা, শিলিগুড়ি জেলা কমিটির সম্পাদক উত্তম সিংহ ও আরো অনেকে।

জানা যাচ্ছে প্রায় 50 টি পরিবার কংগ্রেস থেকে এসে যোগ দিলেন এদিন বিজেপিতে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধিতে তৃণমূল ও গেরুয়া শিবির যোগ দিলেও রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, কংগ্রেস এবং সিপিএম কিন্তু যথেষ্টই পিছিয়ে পড়েছে। অবশ্য একথা উড়িয়ে দিয়ে দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তথা বিধায়ক শঙ্কর মালাকার জানিয়েছেন, যারা দলবদল করেছেন তাঁরা সেই অর্থে কোন নামজাদা ব্যক্তি নন। এছাড়াও তিনি দাবি করেন, একই ব্যক্তিকে বারবার দলবদল করছে বলে অন্যান্য দল দাবি করছে।

তাই এই দলবদলের যে কোন ভিত্তি নেই সে কথা তিনি পরিষ্কার করেছেন। অন্যদিকে সিপিএম জেলা কমিটির সদস্য তথা শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি তাপস সরকার দলবদলের ব্যাপারটি সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন। তাঁর মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক আবহাওয়া গরম করার জন্যই দলবদল এর কথা বলা হচ্ছে। তবে সিপিএম ঝিমিয়ে পড়েছে একথা সর্বৈব মিথ্যা বলে তিনি মনে করেন। উপরন্তু তিনি জানিয়েছেন, কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির প্রতিবাদে মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়ায় রীতিমত বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল সিপিএমের।

বিশেষজ্ঞদের মতে 2019 এর বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ যে একটা বিশাল বড় ভূমিকা নিতে চলেছে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছে, সে কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই কংগ্রেস এবং সিপিএম যথারীতি বাংলার রাজনৈতিক আবহে গুরুত্ব হারাচ্ছে। তবে বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এবার বিজেপি এবং তৃণমূল যে রীতিমতো সাংগঠনিক জোর বৃদ্ধিতে উঠে পড়ে লেগেছে সে কথা যত দিন যাচ্ছে ততই পরিষ্কার হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের দিকেই যে এখন টানটান লক্ষ্য সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!