এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > ত্রাণ দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে প্রতারণা! তৃণমূল নেতাদের ধরে পেটালো গ্রামবাসী!

ত্রাণ দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে প্রতারণা! তৃণমূল নেতাদের ধরে পেটালো গ্রামবাসী!

করোনা মহামারীকে আটকাতে দেশজুড়ে লকডাউন হওয়ার কারণে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষেরা চরম বিপাকে পড়েছেন। কোনো ক্ষেত্র খোলা না থাকায় কি করে রোজগার হবে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন গরীব মানুষেরা। প্রতিটি রাজ্যের শাসক দল থেকে শুরু করে কেন্দ্রের শাসকদল চেষ্টা করছে সেই সমস্ত গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর। পশ্চিমবঙ্গও তার ব্যতিক্রম নয়। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে রেশনের মাধ্যমে সরকারি ভাবে মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তবে এই রেশনে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে বলে বর্তমানে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা রেশন থেকে ত্রাণ তুলে যথেচ্ছাচার চলছে। তবে সরকার বা শাসকদলের পক্ষ থেকে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু এবার ত্রাণ দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে গ্রাম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন তৃণমূল নেতারা।

সূত্রের খবর, উত্তর 24 পরগনা বারাসাত 2 নম্বর ব্লকের শাসন গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু অঞ্চল থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে একাধিক তৃণমূলের নেতার বিরুদ্ধে। যেখানে 50 হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুজন তৃণমূল নেতাকে গ্রামবাসীদের গণধোলাইয়ের শিকার পর্যন্ত হতে হয়েছে। প্রসঙ্গত, বারাসাত 2 নম্বর ব্লকের তরফ থেকে ইটভাটার মালিক এবং কারখানার মালিকদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেই সময় কেন এই টাকা তোলা হচ্ছে, তা জিজ্ঞেস করাতে লকডাউনের সময় সাধারণ মানুষকে সাহায্য করার জন্যই এই টাকা তোলা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছিল। তবে অভিযোগ ওঠে সেই টাকা দিয়ে মানুষকে সাহায্য করার কথা বলা হলেও, সেখান থেকে প্রায় 50 হাজার টাকার মতো কারচুপি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, শনিবার সকালে এই ব্যাপারে গ্রামবাসীরা তৃণমূল নেতাকে দেখে প্রবল বিক্ষোভ দেখান। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জনতার মারে আহত হয়েছেন কেনারাম মল্লিক নামে গ্রাম কমিটির সম্পাদক।

পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে জনতার রোষানলে পড়া আরও তিন তৃণমূল নেতাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আর সাধারণ মানুষের দুর্দিনে যখন তাদের সাহায্য করার কথা, ঠিক তখনই এভাবে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক কারচুপির অভিযোগ আসায় এখন তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ নাজিমুদ্দিন বলেন, “এখানে ইটভাটার মালিকরা প্রত্যেকে 7 থেকে 10 হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছিল। সেই টাকা অঞ্চল কমিটির কাছে জমা হয়।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, “সেই টাকা অঞ্চল কমিটি নিয়ে গ্রাম কমিটির সভাপতি, সহ সভাপতি সম্পাদক এবং কোষাধক্ষ্যকে দেন। ওরাই টাকা দিয়ে কেনা 50000 টাকার চাল চুরি করে অন্য জায়গায় বিক্রি করে দিয়েছে। সেটা জনগণ জানতে পারে। তার পরে দুই হাজার লোক তাদের ঘেরাও করে মারধর করে।” কিন্তু কেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠবে? যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করার কথা বলছেন, সেখানে তৃণমূল নেতারা কেন এভাবে টাকা মারার ঘটনায় গ্রামবাসীদের রোষানলে পড়লেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে বারাসাত 2 নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি শম্ভু ঘোষ বলেন, “গ্রামবাসীদের মুখে মজলিশপুর অঞ্চলের স্থানীয় তৃণমুল কংগ্রেসের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আমরা পেয়েছি। পুলিশ প্রশাসনকে আইনানুগ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।” সব মিলিয়ে এখন তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে প্রতারণার অভিযোগে শোরগোল উত্তর 24 পরগনায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!