ভোটের পরের দিনেই শ্রীরামপুরে চললো গুলি, আতঙ্কে এলাকাবাসী রাজ্য হাওড়া-হুগলি May 7, 2019 গতকাল ছিল রাজ্যে পঞ্চম দফার ভোট।রাজ্যের ৩ টি জেলার মোট ৭ টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়। তার মধ্যে শ্রীরামপুর অন্যতম।গতকাল শ্রীরামপুরেও ভোট নিয়ে অশান্তির খবর পাওয়া যায়।শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কোতুলপুর তীর্থময়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২১৫ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থী দেবজিৎ সরকারের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের হাতাহাতি হয়। দুপুর ১২ টা নাগাদ বিজেপি প্রার্থী ওই বুথে যান সেখানে দিয়ে দেখেন যে ওই বুথে ভোটের লাইনে কয়েকজন এমন রয়েছেন যাদের বয়স সন্দেহ হয়। আর এর পর তিনি তাদের ভোটার আইডি কার্ড আছে কিনা জানতে চান। পাশাপাশি তারা বৈধ ভোটের কিনা সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। আর এর পরেই যাদের নিয়তে প্রশ্ন তোলা হয় তারা লাইন থেকে বেরিয়ে বাইরে চলে যাচ্ছিলেন। এর পর তাদের আটকে বিজেপি কর্মীরা যখন পাল্টা প্রশ্ন করেন তারা কোনো উত্তর না দিয়ে সেখান থেকে চলে যাবার চেষ্টা করেন। তাদের আটকে ফের প্রশ্ন করতেই শুরু হয় উতপ্ত বাক্য বিনিময়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই সময় বিজেপি প্রার্থী দেবজিৎ সরকার দাবি করেন যে এটা তৃণমূল কংগ্রেস বুথ দখল করেছে। যারা ভোটের লাইনে ছিলেন তারা আদেও ভোটার নন। তাদেরকে তৃণমূল বাহিনী ভুয়ো ভোট দেওয়াচ্ছে। সেই সময় বিজেপি প্রার্থী ও কর্মীদের সঙ্গে এই নিয়ে বচসা বাধে। তা হাতাহাতি পর্যায়ে চলেযায়। তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি প্রার্থী ও কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এই সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী গেট বন্ধ করে দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিলে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ওই বুথ। যদিও তৃণমূলের দাবি অকারণ দেবজিৎ সরকার ও তার দলবল তাদের উপর হামলা করে। তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা কিছু করে নি। আর কালকের মতো সে অশান্তিতে ইতি ঘটলেও গতরাতে শ্রীরামপুরের ঝাউবাগান এলাকায় মহম্মদ আকবর নাম এক যুবককে গুলি করা হয়। তার ডান পায়ে গুলি লাগে। এলাকায় দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত অভিযুক্ত রাজা গুপ্ত আপাতত পলাতক। এলাকায় সাট্টার কারবার চালানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই নিয়েই রাজার সঙ্গে গন্ডগোল হয় আকবরের যার জেরে আকবরকে লক্ষ্য করে গুলি চাকায় রাজা বলে অভিযোগ। এদিকে এই নিয়ে পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে কিন্তু এখনো পর্যন্ত অভিযুক্তকে ধরা যায়নি। সে পলাতক। তবে এর সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক যোগ আছে কিনা নাকি শুধুই সত্তা নিয়ে বচসা তা খাটিয়ে দেখছে পুলিশ। অন্যদিকে গুলি চলে আতঙ্কে এলাকাবাসী। আপনার মতামত জানান -