এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > বিশ্বভারতী কাণ্ডে কি এবার সিবিআই তদন্ত? বড়সড় অস্বস্তিতে বিধায়ক সহ ৩ প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা?

বিশ্বভারতী কাণ্ডে কি এবার সিবিআই তদন্ত? বড়সড় অস্বস্তিতে বিধায়ক সহ ৩ প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিশ্বভারতীতে পৌষ মেলার মাঠে প্রাচীর ভেঙে দেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পৌষ মেলার মাঠে প্রাচীর তৈরি করা হলেও, তা ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে। যেখানে নাম জড়িয়ে পড়ে দুবরাজপুরে তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউরি সহ বোলপুর পৌরসভা তৃণমূলের দুই বিদায় কাউন্সিলরের। স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে যত সময় যাচ্ছে, ততই পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে‌।

জানা গেছে, মাঠ ঘেরায় বিশ্বভারতীর যুক্তিকে সমর্থন করার জন্য বিশ্বভারতী মাস কমিউনিকেশন বিভাগের অধ্যাপক বিপ্লব লোহচৌধুরীর বাড়ী এবং গাড়ি ভাঙচুর করা হয়‌। অভিযোগ, সোমবার রাত নটার সময় ছয়-সাতটি মোটর বাইকে চেপে জনাদশেক লোক এসে তার বাড়িতে হামলা চালায়। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন শান্তিনিকেতন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তবে বিশ্বভারতীতে প্রাচীর দেওয়া নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, তার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জানা যাচ্ছে, আদালতের নজরদারিতে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন আবেদনকারী। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার তীব্র জল্পনার সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকে বলছেন, আদালতের কাছে আবেদনকারী তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা বলে আদতে সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন। কিন্তু যদি সত্যি সত্যিই বিশ্বভারতীর এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত শুরু হয়, তাহলে এই ইস্যুতে নাম জড়িয়ে যাওয়া তৃণমূল বিধায়ক সহ বেশকিছু তৃণমূল নেতার ঘুম উড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউরি বলেন, “দলের তরফে নয়, প্রাক্তনী হয়েই প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলাম। আমার প্রাণ থাকতে মেলার মাঠ ঘিরতে দেব না।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “তৃণমূল এই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নয়। প্রাক্তন হিসেবে কেউ যেতেই পারেন‌। বিশ্বভারতী নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের আদর্শকে নষ্ট করার অধিকার কারও নেই।”

তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, যেভাবে এই ঘটনায় আদালতের দ্বারস্থ হতে দেখা গেল এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠনের আর্জি করতে দেখা গেল, তাতে নিঃসন্দেহে জল্পনা তৈরি হচ্ছে। সকলের মনে এখন একটাই প্রশ্ন, সিবিআই তদন্ত যদি শুরু হয়, তাহলে কি চরম অসুবিধার পড়বেন তিন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিবিআই তদন্ত শুরু হলে গোটা ঘটনায় জেরা শুরু হবে, এটা স্বাভাবিক। আর তাতে নাম জড়িয়ে পড়া তৃণমূল নেতাদের ডাকা হলেও ডাকা হতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত আদালত এই ব্যাপারে কি নির্দেশ দেয়, সত্যি সত্যিই সিবিআইয়ের হাতে গোটা ব্যাপারটি যায় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!