সরকারি বই নির্বাচনের ক্ষেত্রে গেরো! সাসপেন্ড হওয়া শিক্ষিকা বড়সড় জয় পেলেন আদালতে! বর্ধমান রাজ্য August 25, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্ণবৈষম্য বলতে প্রথমেই আমেরিকার কথা মনে আসে আমাদের। তবে নিজেদের মনের মধ্যেই যে লুকিয়ে আছে কালিমা, তার দিকে কিন্তু আমাদের চোখ পড়ে না। সামান্য উদাহরণ দিলে হয়তো বোঝাতে পারবো। খবরের কাগজ আমরা কম বেশি সবাই পড়ি। সেখানে পাত্র পাত্রী কলমটি সকলেরই চোখে পড়ে। সেখানে একটু ভালো করে লক্ষ করলেই দেখা যায় ফর্সা, সুন্দর প্রভৃতি রূপবতী মেয়ের দাবি। অথচ তারাই হয়ত কেউ কালি ভক্ত বা কৃষ্ণ ভক্ত। সম্প্রতি কুৎসিতের উদাহরণ দিতে বইতে ছাপা এক কালো চামড়ার মানুষের ছবি নিয়ে আবহাওয়া উত্তপ্ত হয়েছিল। আর সেই বইকেই স্কুলে পাঠ্যের জন্য নির্বাচন করায় সাসপেন্ড হয়েছিলেন বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস জুনিয়র বেসিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। কেন রাজ্য সরকারের অনুমোদন না নিয়ে তিনি এমন বই নির্বাচন করেছেন, এই অভিযোগেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল তাঁকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - স্কুলের ‘চাইল্ড স্টাডি’ নামক বইয়ের পাতায় ওই কালো ব্যক্তির সেই ছবি ও তার বর্ণনা ছাপা ছিল। যা কিনা সেই পড়ুয়াদের জন্য বই নির্বাচন করায় ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে সরকারি অনুমোদন না নেওয়া ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। ওই শিক্ষিকার আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও উদয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় আদালতকে জানান, বিদ্যালয়ের দুই সহকারী শিক্ষকের সুপারিশেই এই বইটি নির্বাচন করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ বর্ণবিদ্বেষের সঙ্গে তুলনা করলেও, এই কারণের জন্য কাউকে সাসপেন্ড করার বিধি কিন্তু মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের রুলসে নেই। তাছাড়া কর্তৃপক্ষ অসদাচরণের অভিযোগে কাউকে সাসপেন্ড করতেই পারে, কিন্তু এই ক্ষেত্রে কীসের ভিত্তিতে অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে, সেবিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি সরকারপক্ষ। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম সিনহা এই সরকারি সিদ্ধান্তকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করে সাসপেন্ডের নির্দেশটি খারিজ করে দেন। আপনার মতামত জানান -