ভোট মিটতেই ফের উতপ্ত চোপড়া, তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সপ্তম শ্রেণির ছাত্র উত্তরবঙ্গ রাজ্য April 19, 2019 গতকাল দ্বিতীয় দফার ভোট শুরু হতেই দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় চোপড়ায়। গ্রামবাসীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন যে, তাঁরা ভোট দিতে পারছেন না। বুথে হয় তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না , নাহলে বলা হচ্ছে যে তাঁদের ভোট হয়ে গেছে। আর জোরজার করলে মারধর করা হচ্ছে। এর এই নিয়েই বিক্ষোভ দেখিয়ে কিছু এলাকাবাসী জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। আর কিছু এলাকাবাসী অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে তাড়া করেন ও মারধরের চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। এরপরেই স্থানীয় তৃণমূলের তরফ থেকেই দাবি করা হয় যে, যারা তাদের নেতাকে তাড়া করেছে তারা বিজেপি। আর এই নিয়ে তারা বিক্ষোভ দেখতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, গ্রামবাসীদের দিকে পাথর ছুড়তে শুরু করে। এরপর অবস্থার অবনতি দেখে পুলিশ আসে ও বিক্ষোভকারীদের ভোট দিতে যাবার অনুরোধ করে তাতে ও কাজ না হলে লাঠিচার্জ করা হয় বিক্ষোভকারীদের উপর। পাল্টা বিক্ষোভকারীরা পুলিশের উপর আক্রমণ করেন আর তার পর পুলিশ গুলি চাকলায় আর কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। পাল্টা বোমা ফাটানো হয় এলাকায়। তবে তা কে ফাটিয়েছে তা জানা যায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র্যাফ আসে। এর পর কেন্দ্রিয়বাহিনীর তত্ববধানে বিক্ষোভকারীরা ভোট দেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সেই মতো পরিস্থিতি আয়ত্বে চলে এলেও ভোট মেটার পরেই ফের এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। শুক্রবার সকাল হতেই চোপড়ার মকদুমি এলাকায় তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে ফের সংঘর্ষ বাঁধে। যার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। শুধু তাই নয় দুই পক্ষের মধ্যে চলে গুলি। আর এর মাঝে পরেই গুলিবিদ্ধ হয় এক কিশোর। জানা গেছে সে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র এবং তার নাম মহম্মদ আব্দুল। জানা যাচ্ছে যে তার পায়ে গুলি লেগেছে। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে এই নিয়ে দুই তরফেই শুরু হয়ে গেছে একে অপরকে দোষারোপ। তৃণমূলের দাবি যে বিজেপির তরফে হিংসা ছাড়ানো হয়েছে তারা শান্ত পরিবেশই পছন্দ করে কিন্তু বিজেপি শুধু দাঙ্গা করতে ভালোবাসে। আর এদিনও তারা তাই করতে চাইছিলো কিন্তু বিজেপির আক্রমণে প্রতিরোধ করতেই তৃণমূল ঝামেলায় জড়িয়ে যায়। কিন্তু বিজেপি তাদের তাক করে গুলি চালায় ও মারধর করে। অন্যদিকে বিজেপির দাবি ঠিক উল্টো। তাদের দাবি বিজেপি করে বলে তাদের উপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। আর তারাই গুলি চালায় ফলে গুরুতর আহত হয় ওই কিশোর। এলাকা এখনো থমথমে। আপনার মতামত জানান -