ভোট পড়েছে অনেক বেশি – কৃষ্ণনগর, রানাঘাট – কৃষ্ণগঞ্জ নিয়ে আশা-আশঙ্কায় সব দলই নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য May 2, 2019 প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ দফায় রাজ্যের প্রায় 18 টি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বাকি রয়েছে আরও তিন দফার নির্বাচন। তবে রাজ্যের যে সমস্ত কেন্দ্রের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে, সেই সমস্ত কেন্দ্রে ভোটের অঙ্কের হিসেব-নিকেশ নিয়ে ইতিমধ্যেই কে শেষ হাসি হাসবে তা নিয়ে অংককষা শুরু করে দিয়েছে শাসক-বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলই। কথায়, আছে ভোটের দিন সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারিত হয়। আর কার কি রকম ভাগ্য তা দেখা যায় ফল প্রকাশের দিন। তবে ফল প্রকাশ হতে এখনও বেশ কিছুদিন দেরি থাকায় হিসেব নিকেশ করে যে যার মতো করে নিজেদেরকে এগিয়ে রাখতে শুরু করে দিয়েছে। জানা গেছে, চতুর্থ দফায় অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া নদীয়ায় যে সমস্ত কেন্দ্রের নির্বাচন হয়ে গেল, সেখানে কৃষ্ণনগর এবং রানাঘাট এই দুটি লোকসভা কেন্দ্রেই 80 শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। আর এতে কিছুটা হলেও খুশি দেখা গেছে শাসক শিবিরকে। অন্যদিকে ইভিএম বিকল যদি না হত, তাহলে আরও অনেক বেশি ভোট পড়তে বলে জানিয়েছে বিরোধীরা। বস্তুত, যে কোনো নির্বাচনেই বেশি মাত্রায় ভোট পড়া শাসকের বিরুদ্ধে যায়। তাই এই কেন্দ্রগুলিতে যদি বেশি পরিমাণে ভোট পড়ত, তাহলে তা শাসকদলের বিরুদ্ধেই যেত বলছে মনে করছে বিরোধীরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, নদীয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে মোট 16 লক্ষ 24 হাজার 866 জন ভোটারের মধ্যে এবারে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন 13 লক্ষ 61 হাজার 129 জন ভোটার। অর্থ্যাৎ শতাংশের বিচারে এখানে 83.77 শতাংশ ভোট পড়েছে। অন্যদিকে এই রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের মোট ভোটার 17 লক্ষ 56 হাজার 445 জনের মধ্যে এখানে ভোট দিয়েছেন 14 লক্ষ 78 হাজার 659 জন। ফলে শতাংশের বিচারে তা দাঁড়িয়েছে 84.18 শতাংশে। এদিকে এই নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে 84.25 শতাংশ। আর ভোট পড়ার হার দেখে কিছুটা হলেও খুশি এবং আশাবাদী শাসক শিবির। অন্যদিকে ভোটের হার আরও বাড়লে তা শাসকের পক্ষে অসুবিধা হত এবং ইভিএম বিকল হয়ে যাওয়ার কারণেই তা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ বিজেপির। এদিন এই প্রসঙ্গে নদিয়া উত্তরের জেলা বিজেপির সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, “প্রচুর ইভিএম বিকল হয়েছে। সকাল থেকেই বুথে বুথে দীর্ঘ লাইনে ভোটাররা দাঁড়িয়েছিলেন। ইভিএম ঠিক না হওয়ায় অনেক ভোটার ফিরে গিয়েছেন। আসলে এর পেছনে শাসক দলের চক্রান্ত রয়েছে। ভোট পড়ার হার বাড়লে শাসকের পক্ষে তা অসুবিধা হত।” অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে নদীয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌরীশংকর দত্ত বলেন, “ইভিএম বিকলের পেছনে নির্বাচন কমিশনের চক্রান্ত রয়েছে। বিজেপিকে বলব নিজেদের সংগঠন মজবুত করতে অন্তত সময় দিক। লোকসভা নির্বাচনে এই শতাংশেই ভোট পড়ে। তবে ভোটের শতাংশের হার বাড়লে আমাদের জয়ের ব্যবধান আরও বাড়ত।” সব মিলিয়ে এবার নির্বাচন সম্পন্ন হতে না হতেই ভোটের শতাংশ নিয়ে জয় – পরাজয়ের বিশ্লেষণে শাসক দল তৃণমূল এবং বিরোধী দল বিজেপি। আপনার মতামত জানান -