এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভোট শুরু মহারাষ্ট্র-হরিয়ানায় – ক্ষমতায় কে আভাস স্পষ্ট সন্ধ্যের মধ্যেই

ভোট শুরু মহারাষ্ট্র-হরিয়ানায় – ক্ষমতায় কে আভাস স্পষ্ট সন্ধ্যের মধ্যেই


দীপাবলীর আগেই কথামতো শুরু হলো নির্বাচন মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায়। বিধানসভার সাধারণ নির্বাচন শুরু হলো আজ একুশে অক্টোবর। নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বহু আগে থেকেই মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় রাজনৈতিক দলগুলি তাঁদের প্রচার সেরে রেখেছে। আজকের নির্বাচনে দেখা যাবে, শাসকের আসনে কে বসবে। আগের সরকার না নতুন সরকার।

বিভিন্ন ইস্যুতে ইতিমধ্যে বিজেপি সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে, কিন্তু কোন কিছুকেই পাত্তা না দিয়ে বিজেপি তাঁদের জোট সঙ্গীকে নিয়ে বহুল প্রচারে এগিয়ে আছে। তাই রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, আঞ্চলিকভাবে এই দুই রাজ‍্য বিজেপির ওপরেই আশাবাদী।

আজ একুশে অক্টোবর এবং মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ‌। মহারাষ্ট্রে আজ 3237 জন প্রার্থী তাঁদের ভাগ্য নির্ধারণে নেমেছেন লড়াইয়ের ময়দানে। অন্যদিকে, হরিয়ানার লড়ছেন 1169 জন। পাশাপাশি আজ 18 টি রাজ্যের 51 টি বিধানসভায় ও দুটি লোকসভা আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। দুই রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেস তাদের পুরনো আসন ফেরানোর জন্য সমস্ত শক্তি দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্র এই দুই রাজ্যে ক্ষমতায় আছে বিজেপি। সেখানে অনেকটাই দুর্বল কংগ্রেস। দুই রাজ্যে কংগ্রেস গড়ে দলীয় কোন্দল, শরিকি সমস্যা নিয়ে ফাটল ধরেছে। অন্যদিকে, বিজেপি স্বস্তিতে মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সাথে জোট হওয়ায়। লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের তিনটি রাজ্যে ক্ষমতা হারিয়েছিল বিজেপি। এবার আবার নির্বাচনী লড়াইয়ে জেতার আশা নিয়ে বিজেপি ময়দানে।

হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে বিজেপির নির্বাচনী প্রচার ছিল দেখার মতন। অন্যদিকে, কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচার সেভাবে চোখে পড়েনি। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী নিজে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় নির্বাচনী প্রচারে উপস্থিত থেকেছেন। অমিত শাহও মহারাষ্ট্রের নির্বাচনী প্রচারে যথেষ্ট উদ্যোগী ছিলেন। এবার ভোটের প্রচারে বিজেপির স্বপক্ষে যে ইস‍্যু আছে, তা হল কাশ্মীর থেকে 370 ধারা বিলোপ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মহারাষ্ট্রে মোট আসন ছিল 288‌ সেখানে দেড়শ আসনে বিজেপি লড়াই করছে। অন্যদিকে বিজেপি শরিক শিবসেনা লড়াই করছে 128 টি আসনে। আর বাকি আসনে বিজেপির অন্যান্য শরিকরা লড়াই করছে। অন্যদিকে, ভোটের ময়দানে কংগ্রেসের সাথে এনসিপি নেমেছে জোট বেঁধে। মহারাষ্ট্রের ভোটের ময়দানে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, আদিত্য ঠাকরেরা তুমুল ভাবে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছে। বিজেপির নির্বাচনী প্রচারে কাশ্মীর থেকে 370 ধারা বিলোপ নিয়ে প্রচার চালিয়ে গেছে।

এদিকে হরিয়ানায় 90 টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। সাধারণত হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের প্রধান ইস্যু হয় রাজ্যের সমস্যা। তবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চেষ্টা চালিয়ে গেছেন নির্বাচনী প্রচারে কাশ্মীর থেকে 370 ধারা বিলোপ ও সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এর কথা প্রচার করার। পাশাপাশি হরিয়ানায় নির্বাচনী প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী পরিষ্কার জানিয়েছিলেন, ভারতের নদীগুলি দিয়ে যে জল পাকিস্তানে ঢুকছে, তা তিনি হরিয়ানার চাষীদের দেবেন। আর এর জন্য সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা খরচ হবে।

আপাতত মহারাষ্ট্র হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে যুযুধান রাজনৈতিক শিবিররা যুদ্ধে নেমেছে। মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি শিবসেনা জোট ভেঙে যাবার একটা গুজব রটেছিল। বিরোধীরাও সেই খবরে যথেষ্ট আশান্বিত ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিরোধীদের সব আশা ভেঙ্গে দিয়ে বিজেপি শিবসেনা জোট অটুট রয়ে যায়। হরিয়ানাতেও বিজেপির পাল্লা ভারী। কারণ হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বেশ কিছু হেভিওয়েট নেতা কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আপাতত এই দুই রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফলের দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি।

 

যদিও বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে বল আপাতত রয়েছে বিজেপির দিকেই। তবুও রাজনৈতিকমহলের দাবি কিছুই বলা যায় না। এদিকে ভোট শেষ হলেই নির্বাচন কমিশনের বিধিনিশেষ উঠলেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এক্সিট পোল প্রকাশ করবে। যার ফলে জানা যাবে কে করবে বাজিমাত। চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়াতেও। আমরাও নির্বাচন কমিশনের বিধিনিশেষ উঠলেই এক্সিট পোল প্রকাশ করবো।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!