প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ঘিরে কি এবার রাজ্য-রাজনীতিতে ঝড় উঠতে চলেছে? সরকারিভাবে এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এখনও কিছু জানানো হয় নি। কিন্তু, তৃণমূলের অন্দরমহলে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে এই নিয়ে তীব্র গুঞ্জন। শাসকদলের বিভিন্ন মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, গতকাল রাত্রে তিন তৃণমূল শীর্ষনেতা এক বৈঠকে বসেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন এক রাজ্যসভার সাংসদ ও রাজ্যের দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী।

দলীয় শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সেই বৈঠকে এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও গুঞ্জন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তৃণমূলের ওই তিন শীর্ষনেতা বৈঠকের শেষে দলের অপর এক হেভিওয়েট নেতাকে নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। যে কোন মুহূর্তে দল থেকে বহিস্কার করা হতে পারে ওই নেতাকে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে শাসকদলের অন্দরেই। প্রসঙ্গত, যে নেতাকে নিয়ে এত বড় সিদ্ধান্ত হতে চলেছে, তাঁকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছে।

ওই নেতাকে নিয়ে কখনও জল্পনা ছড়ায় যে তিনি নাকি অন্য দলে যোগ দিতে পারেন। কখনো আবার শোনা যায়, তিনি নাকি নিজের নতুন দল খুলতে পারেন। ইদানিং, ওই হেভিওয়েট নেতার গুরুত্ব বিভিন্নভাবে দলে কমানো হয়েছে। আর তখন সেই গুঞ্জন আরও তীব্র মাত্রা নিতে শুরু করে। দলে ডানা ছাঁটার প্রক্রিয়া শুরু হতেই, তাঁর অনুগামীরা দলের সমান্তরাল কর্মসূচি নিতে থাকেন। সংশ্লিষ্ট ওই হেভিওয়েট নেতাও, সরকারি মঞ্চের বাইরে গিয়ে ইদানিং নিজের মতোই কর্মসূচি করছেন।

যা মোটেই ভালোভাবে নেয়নি শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই গতকাল রাত্রের ওই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক বসে। আর বৈঠকের শেষে, বহিষ্কারের সিদ্ধান্তেই সিলমোহর পরে। তৃণমূলের অন্দরে আরও গুঞ্জন, ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্তের কথা দলের শীর্ষনেত্রী ও দলের অঘোষিত দু-নম্বর নেতার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেও সম্ভবত সবুজ সঙ্কেত এসে গেছে। ফলে যে কোন মুহূর্তেই ঘোষিত হতে পারে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত। এখন দেখার, সত্যিই এই জল্পনার মধ্যে কোন বাস্তবতা আছে, নাকি এটাও একটা সাধারণ রাজনৈতিক গুঞ্জন!