এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ভোটের পারদ চড়লেও এখনও জেলায় দেখা মিলছে না শীর্ষ নেত্রীর! ক্রমশ হতাশা বাড়ছে নীচুতলার কর্মীদের

ভোটের পারদ চড়লেও এখনও জেলায় দেখা মিলছে না শীর্ষ নেত্রীর! ক্রমশ হতাশা বাড়ছে নীচুতলার কর্মীদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এককালে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির পর তাকেই নেত্রী হিসেবে মানতেন উত্তর দিনাজপুর জেলার নেতাকর্মীরা। বিজেপি বনাম তৃণমূলের লড়াইয়ে এখন রাজ্যে কিছুটা হলেও অপ্রাসঙ্গিক বাম এবং কংগ্রেস। কিন্তু এই দুই দল ঘুরে দাঁড়াতে এখন মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে সামনে ভোট, কিন্তু তাও উত্তর দিনাজপুর জেলায় দেখা যাচ্ছে না প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির সহধর্মিনী তথা কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেত্রী দীপা দাশমুন্সিকে। যার ফলে প্রবল হতাশা গ্রাস করেছে জেলা কংগ্রেস নেতা কর্মীদের মধ্যে। যেখানে সামনে ভোট, প্রতিটা রাজনৈতিক দল নিজেদের নিজেদের মতো করে ময়দানে নেমে পড়েছে, সেখানে কেন এই হেভিওয়েট নেত্রী দলকে চাঙ্গা করতে ময়দানে নামছেন না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

অনেকে বলছেন, গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে রায়গঞ্জে আর সেভাবে দেখা পাওয়া যায়নি এই দীপা দাশমুন্সির। রায়গঞ্জ থেকে তিনি লোকসভা নির্বাচনের পর চলে গেলে আর তেমনভাবে জেলায় আসেননি। যার ফলে ধীরে ধীরে নেতৃত্বহীনতায় ভুগতে শুরু করেছে কংগ্রেস। সেভাবে দাপটের সঙ্গে তৃণমূল বিরোধিতার কোনো মুখ না পাওয়ার কারণে তারা অনেকটাই পিছনের সারিতে বলে দাবি কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের।

তবে দীপা দাশমুন্সিকে যে অত্যন্ত প্রয়োজন এবং তার নেতৃত্বে চললে দল যে অনেকটাই ভালো ফল করবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত নেতাকর্মীরা। আর তাই সকলেই এখন দীপা দাশমুন্সির সক্রিয়তা চাইতে শুরু করেছেন। সত্যিই তো তাই! কেন তিনি দলকে সময় দিচ্ছেন না! যেখানে একসময় উত্তর দিনাজপুর জেলায় প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির অনুপস্থিতিতে তাকেই দলের নেতাকর্মীরা প্রধান মুখ হিসেবে মানত, সেখানে নির্বাচনের আগে কেন তাকে দেখা যাচ্ছে না! জানা গেছে, ব্যক্তিগত কারণেই দীপা দাশমুন্সি রাজনীতিতে খুব একটা বেশি সময় দিতে পারছেন না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে যে কথা বলা হচ্ছে, তা পূরণ করতে কি জেলা নেতৃত্ব কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে! এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি পবিত্র চন্দ্র বলেন, “প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির নীতি-আদর্শে আমরা বিশ্বাস করি। তাকে সামনে রেখে আমরা এবারও প্রচারে নামব। প্রিয়দার পর দীপা বউদি রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন। তিনি সংসদ থাকার সময় রায়গঞ্জে প্রভূত উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু তার পরবর্তী সময়ে রায়গঞ্জ তেমন উন্নয়নের কাজ হয়নি। সামনে নির্বাচন। আমরা দলগতভাবে নানা পরিকল্পনা নিয়েছি। আশা করি, বৌদি আসবেন। তিনি দলের কর্মীদের উজ্জীবিত করবেন। আমাদের জেলা সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত নিয়মিত তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তার মাধ্যমেই সব সময় রায়গঞ্জের খোঁজখবর নিচ্ছেন দীপা দাশমুন্সি।”

এদিকে এই ব্যাপারে রায়গঞ্জের বিধায়ক তথা উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, “দীপা দাশমুন্সি ব্যক্তিগত কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে একটু দূরে রয়েছেন। পাশাপাশি তাদের একমাত্র সন্তান প্রিয়দীপ ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করে। সেইসব কারণেই তিনি নানা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তাই বিগত কিছুদিন তাকে আমরা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে পাশে পাইনি। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি আসবেন এবং নির্বাচনী প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বেন।এই নিয়ে কর্মীদের দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই।”

কিন্তু জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব যে কথাই বলুক না কেন, জেলায় কংগ্রেসের যে সঠিক মুখের যথেষ্ট অভাব রয়েছে, তা নেতাকর্মীদের এই ধরনের চাহিদাতেই কার্যত পরিষ্কার। দীপা দাশমুন্সি সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে দলের হয়ে সরব হলে দল যে অনেকটাই অক্সিজেন পাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সেই কারণেই সকলে দীপা দাশমুন্সির অভাব অনুভব করতে শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে কর্মীদের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে দীপা দাশমুন্সি জেলায় ফিরে কবে থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!