এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কোভিড বিধি না মানায় আটক হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ! জোর করে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হল

কোভিড বিধি না মানায় আটক হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ! জোর করে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশজুড়ে করোনা এখনো রীতিমতো আতঙ্কজনক অবস্থায় রয়েছে। দেশে সুস্থতার হার বাড়লেও সাবধানতা বজায় রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে বিভিন্ন রাজ্য নিজের মতন করে। সেরকমই ঝারখন্ড সরকার করোনাবিধি হিসেবে নিয়ম করেছে, ঝাড়খন্ড রাজ্যে অন্য রাজ্য থেকে প্রবেশ করলে তাকে 14 দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে। আর এবার এই নিয়মের ফাঁদে পড়ে 14 দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে যেতে হলো বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজকে। জানা গিয়েছে, গিরিডিতে তিনি একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন।

তারপর সেখান থেকে সড়কপথে ধানবাদ যাচ্ছিলেন তিনি। ধানবাদ থেকে দিল্লি যাওয়ার ট্রেনে উঠতেন। কিন্তু কোভিড নিষেধাজ্ঞা না মেনে রাস্তায় বেরোনোর জন্য তাঁকে আটক করা হয়েছে। আর আটক করেই তাঁকে 14 দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ধানবাদ জেলা প্রশাসনের এক উচ্চ পদস্থ অফিসার। ধানবাদ পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রাহুল কুমার সিনহা জানিয়েছেন, পিরটাঁড় থানার কাছে সাক্ষী মহারাজের গাড়ি আটকায় পুলিশ।

তারপর তাঁকে শান্তি ভবন আশ্রমেই আবার ফেরত পাঠানো হয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে। তবে ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, 14 দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে না চাইলে এমপি ইচ্ছা করলে ওই সময় কমানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করতে পারেন। সূত্রের খবর, উত্তর প্রদেশ থেকে নির্বাচিত হওয়া বিজেপি এমপি খবর না দিয়ে গিরিডিতে এসেছেন, এই খবর পেয়েই তৎপর হয় ঝারখন্ড প্রশাসন এবং সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, সাক্ষী মহারাজকে পুলিশের একটি টিম অনুসরণ করেছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেই টিমে ছিলেন সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট প্রেরণা দীক্ষিত। যদিও সাক্ষী মহারাজ পরে অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি অসুস্থ মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন গিরিডিতে। হোম কোয়ারেন্টাইনে যাবার আগে তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্য সচিবের সঙ্গে কথাও বলেন। কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি বলে জানা গেছে। এদিন সাক্ষী মহারাজ অভিযোগ করেন, তাঁকে জোর করে কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগেই আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে তেজপ্রতাপ যাদব রাঁচি এসেছিলেন।

তিনি সড়কপথে ফেরেন পাটনায়। কিন্তু তাঁর জন্য কোনরকম করোনা নিষেধাজ্ঞা ছিলনা ঝাড়খন্ড প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক কারণেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রত্যেকটি রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিজস্ব নিয়ম আছে এবং সেই নিয়ম মেনে চলা উচিত। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ঝাড়খন্ড একটি অবিজেপি শাসিত রাজ্য। আর সে কারণেই গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক কারণ খোঁজা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!