শাসকদলের প্রার্থী সাজদা আহমেদকে নিয়ে কি ভাবছে উলুবেড়িয়া? বিশেষ খবর রাজ্য December 31, 2017 উলুবেড়িয়ার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুলতান আহমেদের অকাল প্রয়ানে সেখানে হতে চলেছে উপনির্বাচন। আর সবাইকে অবাক করে সেখানে শাসকদল প্রার্থী করেছে প্রয়াত সুলতান সাহেবের স্ত্রী সাজদা আহমেদকে। চমক তো বটেই, কেননা উলুবেড়িয়া ঘুরে শাসকশিবিরের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বললেই ধরা পড়ছে, তাঁদের কাছে ‘খবর’ ছিল সুলতান আহমেদের শূন্যস্থানে প্রার্থী হতে চলেছেন তাঁর ছোট ছেলে শারিক আহমেদ। এমনকি সেই হিসাব মাথায় রেখে দলীয় অনুষ্ঠানে নিয়ে এসে রাজনৈতিক পরিচয় করানোও হচ্ছিল স্থানীয়দের সঙ্গে। কিন্তু সব হিসেবে উল্টে দিয়ে দলনেত্রী বেছে নিয়েছেন সুলতান জায়াকে। স্থানীয় নেতৃত্ত্ব আরো অবাক কেননা সাজদা আহমেদকে সেভাবে সুলতান আহমেদের সঙ্গে এলাকায় সেভাবে দেখাই যায়নি। গত লোকসভা নির্বাচনের সময়ে উলুবেড়িয়ায় সুলতানের অস্থায়ী কার্যালয়ে এসে মাঝে মধ্যে থাকতেন তিনি, কিন্তু কখনো সে ভাবে বাইরে আসেননি। কিন্তু এসব নিয়ে এখন আর মাথা ঘামাতে রাজি নন, ঘাসফুল কর্মীরা। হাওড়া-গ্রামীণ জেলা তৃণমূল সভাপতি পুলক রায় তো স্পষ্ট করে বলেই দিলেন, সাজদা আহমেদ হলেন দলনেত্রীর পাঠানো প্রার্থী, তিনি আমাদের শ্রদ্ধেয়, তাঁকে জেতাতে দল ঝাঁপিয়ে পড়বে। এমনিতেই উলুবেড়িয়া শাসকদলের কাছে বেশ ‘সহজ আসন’, পরপর দুবার এখান থেকে সাংসদ হয়েছিলেন সুলতান আহমেদ। গত লোকসভায় তো জিতেছিলেন ‘হাসতে হাসতে’, সিপিএমের সাবিরউদ্দিন মোল্লাকে ২ লাখের বেশি ভোটে পরাজিত করেছিলেন চতুর্মূখী লড়াইয়ে। গত বিধানসভা নির্বাচনেও সাতটার মধ্যে ৬ টা বিধানসভা তৃণমূলের দখলে, শুধুমাত্র কঠিন লড়াই দিয়েও খুব অল্প ব্যবধানে হার হয়েছিল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি আমতাতে, তাও বামফ্রন্টের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট থাকায়। এবারেও যা পরিস্থিতি লড়াই চতুর্মূখীই হতে চলেছে। কিন্তু মুকুল রায় আর বিজেপি তো বেগ দিতে পারে? শোনা যাচ্ছে ফরিদ খানও দাঁড়িয়ে যেতে পারেন। তাহলে কি জমে যাবে নির্বাচন? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতার কথায়, লড়াই তো জমবেই, তবে তা কে দ্বিতীয় হবে আর কে তৃতীয় হবে তাই নিয়ে। আমাদের লড়াই সুলতানদার থেকেও বড় ব্যবধানে জিতিয়ে ‘ভাবীকে’ দিল্লি পাঠানো। আর কি করবেন মুকুল রায়? সবং দেখলেন না! ওরা নিজেদের মধ্যে ভোট কাটাকাটি করে লড়বে, আর আমরা ‘দিদির’ দেখানো উন্নয়নের পথে আমাদের ভোট বাড়িয়ে নেব। আপনার মতামত জানান -