এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > অধীর-পরিবার দিয়েই অধীর-বধের পরিকল্পনা সম্পূর্ণ করে ফেলল শাসকদল

অধীর-পরিবার দিয়েই অধীর-বধের পরিকল্পনা সম্পূর্ণ করে ফেলল শাসকদল


আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন, আর সেদিকে তাকিয়েই নিজেদের অপেক্ষাকৃত ‘দুর্বল’ জায়গাগুলিতেও ভালো ফলের আশায় এখন থেকেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বলায় বাহুল্য গোটা রাজ্যের মধ্যে অন্যতম বেগ পেতে চলা জেলা হল মুর্শিদাবাদ। আর মুর্শিদাবাদের সদর ব্লক বহরমপুর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর খাস তালুক হিসেবেই পরিচিত। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখানকার ১৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে বামফ্রন্ট ৭ টি, কংগ্রেস ৯ টি এবং তৃণমূল কংগ্রেস ১ টি দখল করে। পঞ্চায়েত সমিতির ৫১ টি আসনের মধ্যে সিপিএম ২৫ টি, কংগ্রেস ২৩ টি এবং তৃণমূল ৩ টি দখল করে, জেলা পরিষদের ৩ টি আসনই নিজেদের দখলে নেয় কংগ্রেস। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ সভাপতির পদ সিপিএম এবং নটি স্থায়ী সমিতি কংগ্রেস নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়। কিন্তু এবারের নির্বাচনে কংগ্রেস ও সিপিএমের এই ‘মিলন সমিতি’ ভাঙতে মরিয়া তৃণমূল।
আর এই কাজে তাঁদের হয়ে আসরে নামতে চলেছেন অধীর চৌধুরীর শ্যালক তথা তৃণমূলের বহরমপুর মহকুমা সভাপতি অরিৎ মজুমদার। তাঁর নেতৃত্ত্বে দুটি টীম তৈরি হয়েছে। একটি টীম দায়িত্ত্ব নিয়েছে ভাগীরথী নদীর পশ্চিম প্রান্তের ছটি পঞ্চায়েতের, অন্য টিমটি নদীর পূর্ব প্রান্তের ১১ টি পঞ্চায়েতের। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ত্ব পশ্চিম প্রান্ত নিয়ে বেশি ভাবিত নয়, কেননা ওখানকার ৬ টি পঞ্চায়েতের ৫ টিই বর্তমানে শাসকদলের দখলে, কিন্তু পূর্ব প্রান্তের ১১ টির মধ্যে মাত্র ৩ টি আছে শাসকদলের দখলে। আর তাই কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট ভেঙে শাসকদলে যোগ দেওয়া সেখাকার ‘ভোট-ম্যানেজাররা’ ইতিমধ্যেই আসরে নেমে পড়েছেন। পশ্চিম ব্লকের সভাপতি আলাউদ্দিন সাহেবের কথায়, কংগ্রেস ও সিপিএম পঞ্চায়েত সমিতি ঘিরে ‘মিলন সমিতি’ গড়েছে। এজন্য এলাকার উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে, এবার সেই মিলন সমিতি ভাঙবই। অন্যদিকে অরিৎবাবু জানান, এবার এই ব্লক থেকে সিপিএম ও কংগ্রেসকে উৎখাত করবই, ওরা ভোটে প্রার্থী খুঁজে পাবে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!