এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সন্দেশখালি কাণ্ডে চরম বিপাকে মমতা পুলিশ, কড়া ট্রিটমেন্টের দাবি শুভেন্দুর!

সন্দেশখালি কাণ্ডে চরম বিপাকে মমতা পুলিশ, কড়া ট্রিটমেন্টের দাবি শুভেন্দুর!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে এমন ভাবে ব্যবহার করছেন প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে, যাতে এই পুলিশের শিরদাঁড়া বলতে এখন আর কিছু নেই। তারা অপরাধীদের রক্ষা করার জন্যেই নিজেদের ব্যবহার করে। ওপর তলা থেকে যে নির্দেশ আসবে, সেই নির্দেশ পালন করতে গিয়ে এই পুলিশ নিজেদের দলদাস হিসেবে এই বাংলার মাটিতে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সন্দেশখালির ঘটনার পর সেই চিত্র আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যখন তদন্তভার হাতে পেয়ে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, ঠিক তখনই বড় দাবি করে বসলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একেবারে এই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের ঘুম উড়িয়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে আবেদন সহকারে একটি দাবি জানালেন তিনি। আর যদি শুভেন্দুবাবুর এই বক্তব্য অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সংস্থা পদক্ষেপ নেয়, তাহলে কিন্তু সবথেকে বড় চাপের মুখে পড়তে চলেছে নবান্ন। সিবিআইয়ের একটি পদক্ষেপেই ফেঁসে যেতে পারে গোটা রাজ্য সরকার। কিন্তু কি এমন বললেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

প্রসঙ্গত, সিবিআই তাদের তদন্তভার হাতে নেওয়ার পরেই বুঝিয়ে দিয়েছে যে, ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। এতদিন পুলিশের কাছে অনেক সুযোগ থাকলেও, তারা সন্দেশখালির ঘটনায় যারা প্রকৃত অপরাধী, তাদেরকে আড়াল করে রাখার চেষ্টা করেছিল। কারণ পুলিশ তৃণমূল নেতাদের কথা মত কাজ করে। তাই তারা অপরাধী তৃণমূল নেতাদের রক্ষা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সিবিআই তদন্তভার হাতে পেতেই শেখ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা থেকে শুরু করে জিয়ারুদ্দিন মোল্লা সহ আরও একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। স্বভাবতই এটা অত্যন্ত খুশির খবর। কিন্তু যে পুলিশ নাটের গুরু পাটের শাক হয়ে এতদিন মূল বিষয়কে আড়াল করে গিয়েছে, যে পুলিশের কাছে শাহজাহানের দুটি মোবাইল ফোন রয়েছে, যা থেকে অনেক তথ্য উদ্ধার করা সহজ হবে, এবার সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললেন শুভেন্দু অধিকারী। তার দাবি, অবিলম্বে এই পুলিশদের জেরা করে তোলা উচিত কেন্দ্রীয় সংস্থার।

একাংশ বলছেন, বিরোধী দলনেতার এই কথার পেছনে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। আজকে পুলিশের জন্যই তদন্ত প্রক্রিয়ায় এত দেরি হয়েছে। পুলিশ খুব ভালো করেই জানত, শেখ শাহজাহান সহ এই সমস্ত অভিযুক্তরা কোথায় রয়েছে! কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা তাদের গ্রেফতার করেনি। কারন তাহলে তৃণমূলের অনেক গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে। তাই এতদিন তাদের আড়াল করে রাখা হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই একটা সময় নষ্ট হওয়া থেকে শুরু করে তদন্তে ঢিলেঢালা প্রক্রিয়া নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধেই এখন কিন্তু প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সকলে। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অবিলম্বে এই সমস্ত দলদাস পুলিশের বিরুদ্ধে কড়া ট্রিটমেন্ট দেওয়া উচিত কেন্দ্রীয় সংস্থার বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, পুলিশের উচিত রাজধর্ম পালন করা। তাদের বোঝা উচিত যে, তৃণমূল চিরকাল ক্ষমতায় থাকবে না। তাই যখন তৃণমূল থাকবে না, তখন যে সমস্ত পুলিশ এখন মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন, অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করছেন, ক্ষমতার বদল হলে তাদের পরিণতি কতটা করুন হবে, সেটা কেন তারা বুঝতে পারছেন না! তাই দলদাসের নামাবলীটা সরিয়ে রেখে পুলিশ রাজধর্ম পালনের কাজে অগ্রণী ভূমিকা না নিলে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদ ধেয়ে আসতে পারে। তবে এতদিন সন্দেশখালির ঘটনার পর বিরোধী দল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের একটাই দাবি যে, যারা তদন্ত প্রক্রিয়াকে এত পিছিয়ে দিল, তাদের বিরুদ্ধে কবে অ্যাকশন হবে? তাই মূল অভিযুক্তদের যখন ধরে টাইট দেওয়ার কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা, তখন মানুষের সেই আওয়াজটাই তুলে ধরলেন বিরোধী দলনেতা।

স্বভাবতই কোনো দিক না দেখে তদন্তের স্বার্থে এবং সন্দেশখালির আমজনতার জন্য এই সমস্ত দলদাস পুলিশকে একটা সবক অন্তত শেখানো উচিত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বুঝিয়ে দেওয়া উচিত, পুলিশ হয়ে যারা অন্যায়কে প্রশ্রয় দিচ্ছে, তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। তাই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার মত যে সমস্ত পুলিশ সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতাদের এতদিন আশ্রয় দিয়েছেন, তাদেরকেও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত কেন্দ্রীয় সংস্থার। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!