এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার ভুল বোঝানোর দিন শেষ! নাকখত দেওয়ার চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর, মোক্ষম চাপে তৃনমূল!

মমতার ভুল বোঝানোর দিন শেষ! নাকখত দেওয়ার চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর, মোক্ষম চাপে তৃনমূল!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এতদিন অনেক বড় বড় কথা বলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত তাদের নেত্রী বড় বড় গলায় সেই একই ভাঙ্গা রেকর্ডের ক্যাসেট বাজিয়ে যাচ্ছেন। তাদের একটাই বক্তব্য যে, সিএএ হয়েছে, এর ফলে নাকি সকলের নাগরিকত্ব চলে যাবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সোমবার সিএএ বিজ্ঞপ্তি জারি করার পর এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে একজনেরও নাগরিকত্ব গিয়েছে, এইরকম কোনো প্রমাণ দিতে পারবে না এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের ফ্যাসিস্ট নেতা নেত্রীরা। অযথা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য এবং সংখ্যালঘুদের ভোট পাওয়ার জন্যই যে মুখ্যমন্ত্রী আবার এই নতুন চালাকি এবং মিথ্যাচারের রাজনীতি শুরু করেছেন, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর এসবের মাঝেই শুভেন্দু অধিকারী যে চ্যালেঞ্জ করলেন, তা একসেপ্ট করার মত ক্ষমতা কি এই রাজ্যের শাসক দলের রয়েছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কান খুলে শুনে রাখুন, আর যাই হোক, তিনি মিথ্যে প্রলোভন দিয়ে আর সাধারন মানুষকে বিপদে ফেলতে পারবেন না। মানুষের মনে অন্য একটা গল্প ঢুকিয়ে দিয়ে যদি তিনি ভাবেন, বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ রায় দেবে, তাহলে তার সেই চালাকি আর এবার খাটবে না। এদিন শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তারপর কিন্তু এমনটাই বলছেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। কিন্তু কি এমন বললেন শুভেন্দু অধিকারী? সিএএর বিরুদ্ধে যখন তৃণমূল কংগ্রেস একটি মিথ্যে কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, তখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এক চরম চ্যালেঞ্জ এনে এই রাজ্যের শাসক দলকে বিপাকের মুখে ফেলে দিলেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার সিএএর বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার আগে থেকেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এর বিরোধিতা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষকে ভুল বোঝানো এবং আবার একটা চালাকির রাজনীতি তিনি এই বাংলার মাটিতে শুরু করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, এই নিয়ম লাগু করে কেন্দ্রীয় সরকার নাকি অনেকের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেরকম কিছুই হতে দেখা যায়নি। খুব সুষ্ঠুভাবেই দেশে সিএএ লাগু হয়েছে। এর ফলে কারওর যে কোনো ক্ষতি হবে না, বরঞ্চ যারা নাগরিকত্ব পাওয়ার দাবিতে এতদিন আন্দোলন করেছেন, তারা যে এর ফলে নাগরিকত্ব খুব সহজেই পেয়ে যাবেন, এটা বারবার তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরে বুঝিয়ে দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু তারপরেও এই রাজ্যের শাসক দলের প্রধান এবং তাদের দলের চুনোপুটি নেতারা মানুষকে ভুল বোঝানোর জন্য তৎপর। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ভয়ংকর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের উদ্দেশ্যে। এদিন তিনি বলেন, “এসব মিথ্যা বলে কোনো লাভ হবে না। এখনও পর্যন্ত 10 ঘন্টা পেরিয়ে গিয়েছে। সিএএর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। নিয়ম লাগু হয়েছে। তাহলে কেউ যদি দেখাতে পারে যে, একজনেরও নাগরিকত্ব চলে গিয়েছে, তাহলে আমি এখান থেকে মানিকতলা পর্যন্ত নাকখত দিতে দিতে চলে যাব।”

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাস্তব কথা এটাই যে, সিএএ লাগু করা মানে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়া। যে দাবিতে এতদিন আন্দোলন করেছেন মতুয়ারা, তারা এবার স্বীকৃতি পাচ্ছেন। সকলেই এর ফলে খুশি। কিন্তু একমাত্র গায়ে ছ্যাকা লাগছে তৃণমূল কংগ্রেসের। কারণ তারা এতদিন সংখ্যালঘু মানুষদের এই ভয় দেখিয়ে নিজেদের দিকে ভোট টানার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এবার সংখ্যালঘুরাও বুঝতে পেরেছে যে, তৃণমূল সিএএ নিয়ে এতদিন তাদের মিথ্যা কথা বলেছে। তাদের কাছে বিজেপি সম্পর্কে ভুল ভাবনা তৈরি করা হয়েছে। তাই সংখ্যালঘুরাও যখন তৃণমূলের এই চালাকি ধরে ফেলেছে, তখন রাজ্যের শাসক দলের কাছে কুৎসা করা ছাড়া কোন উপায় নেই। তাই তারা যেভাবেই হোক, লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে সিএএর বিরোধিতা করতে তৎপর। তবে তার পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী যে চ্যালেঞ্জ দিলেন, যেভাবে একজনেরও নাগরিকত্ব গেলে নাকখত দেওয়ার কথা বললেন, তাতে তৃণমূল এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা তো দূরের কথা, তারা আর মুখ দেখানোর মত জায়গায় থাকল না। কারণ তৃণমূল নেতারা, যারা এই সিএএর বিরোধিতা করছে, তারাও জানে যে, শুধুমাত্র ভোট রাজনীতির জন্যই মিথ্যা কথা বলে তারা মানুষকে ভুল বোঝাতে চাইছে। স্বাভাবিক ভাবেই লোকসভা ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারীর এই চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের মিথ্যা প্রচারকে আরও বেশি করে সামনে এনে দিল। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!