রাজ্য রাজনীতিতে বড় ঘটনা, “দারুন করে ডিনার করেছি” প্রবল খুশি শুভেন্দু! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য March 12, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-সন্দেশখালির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তৃণমূলের কি রুচিবোধ এবং তাদের নেতারা কিভাবে মানুষের উপর নিপীড়ন করে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে রাজ্য পুলিশ যে সেখানকার মূল অভিযুক্তদের এতদিন আড়াল করার চেষ্টা করেছে, সেটাও ধরে ফেলেছেন সকলে। আর এই পরিস্থিতিতে আদালতের নির্দেশের পর সিবিআই হেফাজতে থাকা শেখ শাহজাহান আরও চাপে পড়ে গিয়েছেন। শুধু তাই নয়, সিবিআই এবার আসল খেলা খেলতে শুরু করেছে। যে কারণে এতদিন বিরোধী দল থেকে শুরু করে সন্দেশখালির সাধারণ মা-বোনেরা যে জিয়ারুদ্দিন মোল্লাকে গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছিলেন, তাকেও গ্রেপ্তার করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর এই ঘটনার পরেই শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তাতে অনেকেই বলছেন যে, রাজ্য রাজনীতিতে শুভেন্দুবাবুর প্রত্যাশা কিন্তু ধীরে ধীরে পূরণ হতে শুরু করেছে। যারা দুষ্কৃতী, যারা এতদিন মানুষের ওপর অত্যাচার করেছেন, তাদের যাতে জেলের ভেতরে ঢোকানো হয়, তাদের যাতে টাইট দেওয়া হয়, সেটাই চাইছেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। অবশেষে তার সেই প্রত্যাশা পূরণ হওয়ার পর আজ শুভেন্দুবাবু এক বড় বার্তা দিলেন। তিনি জানিয়ে দিলেন যে, তিনি সন্দেশখালির এই ঘটনায় এবং সিবিআইয়ের অ্যাকশনের ফলে কতটা খুশি রয়েছেন। প্রসঙ্গত, এদিন সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জিয়ারুদ্দিন মোল্লাকে গ্রেফতার করা নিয়ে শুভেন্দু বাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই তার চোখ মুখের মধ্যে অন্য অভিব্যক্তি ফুটে ওঠে শুভেন্দু অধিকারীর। এর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমি এতে অত্যন্ত খুশি। কালকে রাতে দারুন করে ডিনার করেছি এবং দারুণ করে ঘুমিয়েছি।” একাংশ বলছেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে ঠিক এটাই তো চাইছিলেন শুভেন্দুবাবু। তিনি তো রাজনীতি করে বাড়তি ফায়দা নিতে চাননি। তিনি শুধু চাইছেন, যে সমস্ত তৃণমূলের নেতারা মানুষের ওপর অত্যাচার করছে, তাদের যাতে শাস্তি হয়। আর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অ্যাকশন নেওয়ার পর যে আইন সঠিক পথে চলছে, সেটাও প্রমাণিত। সন্দেশখালির বাঘ বলে পরিচিত শেখ শাহাজাহান এখন সিবিআই হেফাজতে যাওয়ার পর ভেজা বেড়াল হয়ে গিয়েছে। তিনি এখন নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে অনেক বড় কোনো মাথাকেও ফাঁসিয়ে দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর এসবের মধ্যেই তার ডান হাত বলে পরিচিত জিয়ারুদ্দিন মোল্লা যে 5 জানুয়ারি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল, তাকেও গ্রেপ্তার করে নেওয়ায় অত্যন্ত খুশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই সমস্ত ব্যক্তিকে এতদিন পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। কারণ ওপরতলা থেকে নির্দেশ ছিল যে, এরা তৃণমূলের সম্পদ এদের গ্রেফতার করা যাবে না। কারণ এরা গ্রেপ্তার হলে জেরায় বড় কোনো তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে। আর তাতে আরও বড় মাথা ফেঁসে যাবে। তবে এবার তো আর রাজ্য পুলিশ তদন্ত করছে না। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে একের পর এক তৃণমূলের সম্পদরা ধরা পড়ার পর শুভেন্দু অধিকারী এবং ভারতীয় জনতা পার্টির মুখের হাসি অনেকটাই চওড়া হচ্ছে বলেই মনে করছেন একাংশ। পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্য পুলিশকে দিয়ে এই রাজ্য সরকার তদন্ত করানোর চেষ্টা একটা কারণেই করেছিল, যাতে সত্য উদঘাটিত না হয়। কারণ তৃণমূলের ওপর তলার শীর্ষ নেতৃত্ব খুব ভালো মত জানে যে, শাহজাহানকে ভেজা বিড়াল থেকে বাঘ হিসেবে তারাই পরিণত করেছে। তাদের জন্যেই এই এলাকার নেতারা মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে, জমি লুট করেছে। তাই সিবিআই যদি তদন্ত শুরু করে, তাহলে জিয়ারুদ্দিন থেকে শাহজাহান, কেউ রক্ষা পাবে না। স্বভাবতই রাজ্য পুলিশকে দিয়ে তদন্ত করালে এদেরকে আড়ালে রাখা সম্ভব হবে। কিন্তু সেসব জারিজুরি আর বেশিদিন টিকলো না। তাই একের পর এক সন্দেশখালিতে অত্যাচারীদের মুখোশ খুলে যাওয়ার পর এবং তারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি এবং তাদের দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অত্যন্ত খুশি। তারা এখন মনের মধ্যে একটা আশা তৈরি করে রয়েছেন যে, তদন্তকারী সংস্থা যদি ঠিকমত এই সমস্ত ব্যক্তিদের টাইট দেয়, তাহলে আরও বড় কোনো তথ্য বের হবে। প্রমাণ হয়ে যাবে যে, এই রাজ্যের শাসক দল প্রতি মুহূর্তে আইনকে চ্যালেঞ্জ করে, মানুষের ওপর অত্যাচার করে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছে। তাই একের পর এক সত্য উদঘাটিত হওয়ার পাশাপাশি মূল দুষ্কৃতীরা গ্রেপ্তার হওয়ার কারণে সফলতার হাসি দেখা যাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -