এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর মুখে ফের “মমতা চোর” স্লোগান, লোকসভার আগে জেরবার হচ্ছে তৃণমূল!

শুভেন্দুর মুখে ফের “মমতা চোর” স্লোগান, লোকসভার আগে জেরবার হচ্ছে তৃণমূল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বিভিন্ন সভা থেকেই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসকে এবং তাদের নেত্রীকে চোর বলে আক্রমণ করেন। বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরেও তৃণমূলকে বিভিন্ন সময়ে এই কথা শুনে লজ্জায় মুখ ঢাকতে হয়। কিন্তু তারপরেও এই রাজ্যের শাসকদলের লাজ লজ্জা বলতে কিছু নেই। বিভিন্ন জায়গায় তারা যে পরিমাণ চুরি, দুর্নীতি করার কাজ এখনও অব্যাহত রেখেছে, তা দেখে অনেকেই বলছেন যে, বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকলে তো এত কিছু শোনার পর আর দুর্নীতির কেশাগ্র পর্যন্ত কেউ স্পষ্ট করত না। কিন্তু তৃণমূল এত কঠিন শব্দ শোনার পরেও কি করে মানুষকে শোষণ, শাসন করে বাংলাকে দুর্নীতির জায়গায় ঠেলে দিচ্ছে? তবে হাতে আর কিছুদিন বাকি। তার মধ্যেই ঘোষণা হয়ে যাবে লোকসভা নির্বাচনের।

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে। তাই ভোটের মরসুমেও যে দুর্নীতি এবং চোর স্লোগান হজম করতে হবে তৃণমূলকে এবং এই স্লোগান দিয়েই যে তৃণমূলের বিদায় জানানো সম্ভব হবে, তা খুব ভালো করেই জানেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই বেহালার সভা থেকে তিনি তৃণমূলকে আবারও চোর বলে এবং তাদের নেত্রী নাম করে যে সমস্ত শব্দ প্রয়োগ করলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকে বলছেন, তৃণমূল যে ভাষায় সন্তুষ্ট হয়, তাদেরকে সেই ভাষাতেই জবাব দিতে হবে। তাই সঠিক কাজটাই করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। যারা বাংলার সংস্কৃতিকে মানে না, যারা বাংলাকে শেষ করে দিচ্ছে, প্রতি পদে পদে বাংলার বেকার যুবকদের চোখে জল ফেলতে বাধ্য করছে, সেই তৃণমূলকে জবাব দিতে হলে এই ভাষাতেই জবাব দেওয়া প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, এদিন বেহালার সভায় তৃণমূল কাউন্সিলরদের একের পর এক দুর্নীতির কীর্তি নিয়ে সোচ্চার হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একের পর এক পুকুর ভরাট করা নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন তিনি। আর তারপরেই জনতার উদ্দেশ্যে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তৃণমূল মানে কি?” যেখানে জনতার পক্ষ থেকে বলা হয়, চোর। আর তারপরেই শুভেন্দু অধিকারীর মুখ থেকে শোনা যায়, “তৃণমূল মানে চোর। আর সব থেকে বড় চোরের নাম মমতা চোর।” এখন শুভেন্দু অধিকারীর মুখ থেকে এই কথা শুনে তৃণমূলের গাঁয়ে ছ্যাকা লাগতে পারে। তারা বলতে পারে যে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে কলঙ্কিত করার কোনো মানে হয় না। কিন্তু এই মুখ্যমন্ত্রীর ওপর তো বাংলার মানুষ অনেক আশা করেছিল। তাহলে সেই আশা পূর্ণ না করে বাংলায় যে দুর্নীতির তথ্যগুলো সামনে আসছে, সেই পথে কেন হাঁটলেন তিনি? কেন তার সরকারের আমলে এত দুর্নীতির পর্দাফাঁস হচ্ছে! তাহলে অপরাধ যখন হয়েছে, যখন দুর্নীতি হয়েছে, তখন তো সেই বিষয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলবে, সেটাই স্বাভাবিক। সততার প্রতীকের নামাবলী গায়ে দিয়ে বাংলার মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বাংলার যে সর্বনাশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার করেছে, সেটা আর বেশিদিন চলবে না। বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপির ওপর সাধারণ মানুষ ভরসা করতে শুরু করেছেন। তাই বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ত্রুটি বা অভিযোগ পেলে সেই বিষয়ে সোচ্চার হবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু সেখানে সরকার তাদের যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিক যে, তারা কোনো দুর্নীতি করেনি! আসলে তাদের কাছে যুক্তি নেই, তাই বাংলার মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে, এরকম বক্তব্য দিয়ে তারা শুভেন্দু অধিকারীকে চাপে ফেলার চেষ্টা করবেন। কিন্তু বাংলার মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীর এই লড়াইকে স্যালুট করছেন বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল যদি একটু সততা নিয়ে রাজনীতি করত, তাহলে আজকে তাদের এই অবস্থা হতো না। আজকে নিজেদের এই দুর্দশার জন্য একমাত্র দায়ী তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার মানুষ নিজেদের মেয়ে হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। কিন্তু সেই মেয়ে বাংলার মানুষকে রক্ষা না করে যেভাবে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন, তাতে কিন্তু বাংলার মা, বোন থেকে শুরু করে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ, সকলেই প্রচন্ড আঘাত পেয়েছেন। তাই এই সরকারের আমলে যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠছে জনতার মধ্যে থেকেই। আর জনতার সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কাউকে প্রয়োজন হয়। তাই যেটা শুভেন্দু অধিকারী করছেন, তার মধ্যে অন্তত অন্যায় দেখতে পাচ্ছেন না বাংলার গণতন্ত্র প্রেমী জনসাধারণ। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!