প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কথা ছিল, মহাষষ্ঠীর দিন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে বঙ্গবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর কথা দিয়ে কথা রাখলেন তিনি। তবে ভার্চুয়ালে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলা ভাষাতে নিজের কথা তুলে ধরলেন ভারতবর্ষের রাষ্ট্রনায়ক। যেখানে বাংলার আবেগ এবং পুজোকে কেন্দ্র করে বাংলার মানুষের উৎসাহকে আরও বেশি করে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করলেন নরেন্দ্র মোদী। আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভার্চুয়ালে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বাংলা ভাষায় এই বক্তব্য প্রদান নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

কেননা নানা সময়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে দুর্গাপূজা ছুটি দেওয়া হচ্ছে না। এক্ষেত্রে বাংলার বিজেপি নেতৃত্ব অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়েছিল। কিন্তু এবার মহাষষ্ঠীর বোধনের দিন সেই বাংলার আবেগকে জাগিয়ে তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বঙ্গবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস দলের বক্তব্যকেই কার্যত প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

সূত্রের খবর, এদিন বাংলায় নিজের বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে তিনি বলেন, “বাংলা ভাষা এত মিষ্টি যে, এই ভাষা বলার লোভ সামলাতে পারলাম না। জানি আমার উচ্চারণে কিছু খামতি ছিল। তার জন্য মার্জনা করবেন।” পাশাপাশি নারীশক্তির কথা তুলে ধরেও বাংলার আবেগকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “উমা এলো ঘরে। বাংলার এই সনাতনী পরম্পরা রয়েছে।

প্রতিটি নারীকে মায়ের মত শ্রদ্ধা জানাতে হবে। নারীদের প্রতি নির্যাতন আটকাতে দেশে এখন কড়া আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। মহিলাদের সুরক্ষার জন্য সরকার যথেষ্ট তৎপর।” শুধু তাই নয়, বাংলার মনীষীদের কথাও এদিনের বক্তব্যে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গবাসীকে দুর্গাপূজোর শুভেচ্ছা জানানোর মুহূর্তে বাংলা ভাষা দিয়ে নিজের বক্তব্য শুরু এবং শেষ করায় প্রধানমন্ত্রী বাংলার মানুষের মনে প্রভাব ফেলতে চাইলেন বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়, বিজেপি বঙ্গবিদ্বেষী দল। তাদের কেউ বাংলার সংস্কৃতি এবং কৃষ্টি জানে না। তাই বাংলার বৃষ্টির ধারক এবং বাহক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। কিন্তু বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের এই দাবিকে বারবার প্রশ্নের মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আর এবার বাস্তবিক অর্থেই প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালের মাধ্যমে বঙ্গবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলার ভাষার মধ্যে দিয়ে নিজের বক্তব্য শুরু এবং শেষ করার উদ্যোগ নিলেন। যা দেখে অনেকেই বলছেন, প্রধানমন্ত্রী এই শুভেচ্ছা বার্তার মধ্যে দিয়ে এবং বাংলা ভাষা প্রয়োগ করে তৃণমূলকে কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলেন। যা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে অনেকটাই প্রভাব ফেলবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।