এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুই মহারথীর দ্বন্দ্ব চরমে! ঘুম উড়তে চলেছে গেরুয়া শিবিরের!

বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুই মহারথীর দ্বন্দ্ব চরমে! ঘুম উড়তে চলেছে গেরুয়া শিবিরের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু তার আগেই বিধানসভার নির্বাচন ঘিরে বিজেপি শিবিরে চিন্তার ভাঁজ পড়ল। তবে বাংলা নয়, বিহারের। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন হবার কথা। কিন্তু বিহারের বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যেই শরিকি দলের অন্তর্কলহ সামনে এসেছে। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে প্রবল রাজনৈতিক সমালোচনা। বিহার রাজ্যে দুই যুযুধান রাজনৈতিক শিবির হলো মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং অন্যদিকে রামবিলাস পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি।

আর এই দুই শিবিরের অন্তর্কলহ এই মুহূর্তে ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবিরের বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিহারে আসন ভাগাভাগি নিয়ে এই মুহূর্তে শুরু হয়েছে প্রবল দ্বন্দ্ব। অন্যদিকে বিজেপি শিবিরে চরম অস্বস্তি দুই শিবিরের বিবাদ নিয়ে।রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিহারের এই দুই দল বিজেপি শিবিরের মিত্রশক্তি। তাই দু’জনকেই এই মুহূর্তে প্রয়োজন গেরুয়া দলের। যথারীতি এমন কোনো সমাধান চাই যাতে দু’দলের কেউ গেরুয়া শিবিরের পাশ থেকে সরে না যায়।

আর সেই কারণে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার জন্য বিজেপি শিবির প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ইতিমধ্যেই বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেডিইউ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, তাঁরা 12 টি আসনের একটিও ছাড়বেনা। অন্যদিকে লোক জনশক্তি পার্টি এই সিদ্ধান্তের প্রবল সমালোচনা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের দাবি আরো বেশি সংখ্যক আসন বলে জানা গেছে। তবে লোক জনশক্তি পার্টির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কথা বলতে এগিয়ে এসেছেন রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগ পাসোয়ান।

প্রথম থেকেই চিরাগ পাসোয়ান বিহার জুড়ে প্রচার চালিয়েছেন, ‘বিহার আগে, বিহারী আগে’ স্লোগান তুলে। এবং রাজ্যজুড়ে তিনি যে সভা করেছেন, সেখান থেকে সরাসরি তিনি রাজ্য প্রশাসনকে বরাবর আক্রমণ করেছেন বলে জানা গেছে। রাজ্যের আইন শৃংখলার অবনতি নিয়ে বারবার তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যাতে করে জোট সরকার কিন্তু বরাবর বিব্রত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই রাজনৈতিক যুদ্ধের আবহে মুঙ্গেরের এলজেপি সভাপতি রাঘবেন্দ্র সম্প্রতি মন্তব্য করেন, এনডিএ জোট অক্ষুণ্ণ আছে। আর তাই নিয়ে শুরু হয় এলজেপি শিবিরে চূড়ান্ত অসন্তোষ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলস্বরূপ দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। অন্যদিকে সূত্রের খবর, চিরাগ পাসোয়ানের এই সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার। শুধু তাই নয়, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুশীল মোদিও চূড়ান্ত অসন্তুষ্ট হন বলে জানা গেছে। তবে এই ঘটনা বিহারের দুই শরিক দলের মধ্যে যে যোজন ক্রোশ দূরত্ব সৃষ্টি করেছে সে কথা পরিষ্কার। আপাতত নিতিশ কুমার এবং রামবিলাস পাসোয়ান এর এই লড়াইকে থামাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে বিজেপি নেতা সুশীল মোদিকে বলে খবর।

অবশেষে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ময়দানে নামেন বিজেপি নেতা অমিত শাহ। এবং তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, বিহারের নির্বাচন হবে নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখে। তাই আসন সংক্রান্ত এ ধরনের ছোটখাটো স্বার্থত্যাগ করতে হবে সবাইকে। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলার আগে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে যেভাবে শরিকি দ্বন্দ বেড়ে উঠেছে, তা বিজেপি শিবির থামাতে পারবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থাকছে।

অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, বিহার বিধানসভা নির্বাচন এই মুহূর্তে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ গেরুয়া শিবিরের কাছে। আর তাই বিহারের ক্ষমতা নিজেদের হাতে ধরে রাখার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তাঁরা বলে মনে করা হচ্ছে। আর তাই জট কাটাতে ইতিমধ্যে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি শিবির। আপাতত বিহারের রাজনৈতিক কলহ আগামীতে অন্য কোনো রূপরেখা তৈরি করে কিনা, সে দিকেই এখন লক্ষ্য থাকবে সবার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!