এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বামফ্রন্ট > বাম, কংগ্রেস, আব্বাসের জোট দুরস্থ, বামফ্রন্ট জোট টিকবে কিনা? উঠে আসছে নানা প্রশ্ন

বাম, কংগ্রেস, আব্বাসের জোট দুরস্থ, বামফ্রন্ট জোট টিকবে কিনা? উঠে আসছে নানা প্রশ্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও আব্বাস সিদ্দিকীর দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে রাজ্য রাজনীতি একটা বড়সড় দাগ কাটার চেষ্টা করেছিল বামফ্রন্ট। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি। নির্বাচনে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে বাম নেতৃত্ব। এবার বামফ্রন্টের শরিকদের মধ্যে শুরু হয়েছে মতান্তর। দলের এই শোচনীয় পরাজয়ের জন্য দায়ী করা হচ্ছে বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিএমকে। এবিষয়ে সবচেয়ে বেশি সরব ফরওয়ার্ড ব্লক। অবস্থা বুঝে আজ জোট শরিকদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হলো।

কিছুদিন আগে বামফ্রন্টের এক বৈঠকে বিধানসভা নির্বাচনে দলের এই পরাজয়ের জন্য সিপিএমকে দায়ী করেছে একাধিক শরিক দল। একাধিক শরিক দলের অভিযোগ, তাদের কোনো কিছু না জানিয়ে কংগ্রেস ও আব্বাস সিদ্দিকীর দলের সঙ্গে আসন রফা করা হয়েছিল। এ বিষয়ে একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সিপিএম। ফরওয়ার্ড ব্লক এর পক্ষ থেকে এই ঘটনার জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, শরিকদের অন্ধকারে রেখে এভাবে যদি সিপিএম একতরফা সিদ্ধান্ত নিতে থাকে, তবে বামফ্রন্ট ভেঙে দেয়া হোক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শরিকদের বুঝিয়ে সেদিনের মতো শান্ত করেন সিপিএমের শীর্ষ নেতারা। এরপর, এই বিষয়টি নিয়ে আবার আলোচনা করা হবে বলে জানানো হয়। তবে, এ বিষয়ে লিখিত জবারের দাবি করা হয় ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্তের পক্ষ থেকে। গত বুধবার ফরওয়ার্ড ব্লকের কাছে চিঠি পাঠায় সিপিএম নেতৃত্ব। ফরওয়ার্ড ব্লকের অভিযোগ, এই চিঠিতে মূল বক্তব্য সম্পূর্ণ এড়িয়ে গেছে সিপিএম। এরপর আজ শরিকদের নিয়ে বিশেষ বৈঠকের ডাক দিয়েছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।

ক্ষুব্দ ফরওয়ার্ড ব্লক এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবে কিনা? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এ প্রসঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লকের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফিজ আলম সাইরানি জানালেন যে, তাঁরা যে জবাবের আশা করেছিলেন, সিপিএম তার ধারে কাছেও যায়নি। তাই আজকের বৈঠকে ফরওয়ার্ড ব্লক উপস্থিত থাকবে কিনা? তা দলের সাধারণ সম্পাদকের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। তবে, বৈঠকে উপস্থিত থাকলে বিষয়টি নিয়ে আবার প্রশ্ন করা হবে সিপিএম নেতৃত্বকে। এভাবে, নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর বামফ্রন্টের অস্তিত্ব নিয়েই শুরু হয়েছে সংশয়। যেভাবে সিপিএমের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছে শরিকেরা, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ওয়াকিবহাল মহল।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!