এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিরোধীরা যতই লাফাক মোদী একবার প্রচার শুরু করলেই বদলে যাবে বিধানসভার চিত্র? আশায় গেরুয়া শিবির

বিরোধীরা যতই লাফাক মোদী একবার প্রচার শুরু করলেই বদলে যাবে বিধানসভার চিত্র? আশায় গেরুয়া শিবির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার ইতিমধ্যেই জমজমাট হয়ে উঠেছে। নীতীশ কুমার এবং বিজেপিকে চাপে রেখে সভা করতে শুরু করেছে আরজেডি। আর আশ্চর্যজনকভাবে আরজেডির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদবের এই সভায় উপচে পড়া ভিড় দেখে চিন্তা তৈরি হয়েছে বিজেপির অন্দরমহলে। বিরোধী দলের সভা সমিতিতে বিশাল পরিমাণে জমায়েত তাদের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়িয়ে দিচ্ছে। তবে বিজেপির একাংশ বলেছেন, এখনও পর্যন্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নামেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

আর প্রধানমন্ত্রী প্রচারে নামের সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধীদের এই জমায়েত কার্যত ফিকে হয়ে যাবে। বলা বাহুল্য, বিহার বিধানসভার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব আর এক সপ্তাহ বাকি। আর তার আগে শাসক থেকে বিরোধী প্রতিটি রাজনৈতিক দল জোরকদমে প্রচার চালাতে শুরু করেছে। নির্বাচনী প্রচারে একে অপরকে টেক্কা দিয়ে জনতার কাছে নিজেদের ভাবমূর্তি ভালো করতে দিচ্ছে আকর্ষণীয় প্রতিশ্রুতি। কিন্তু নীতীশ কুমার এবং বিজেপি এখানে শক্তিশালী থাকলেও, যেভাবে আরজেডির সভায় জনসমাগম হচ্ছে, তা নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তায় রয়েছে শাসকপক্ষ।

তবে বিজেপির দাবি, এখন বিরোধী দলের এই সমাবেশে জমায়েত হলেও, ধীরে ধীরে তা ফিকে হয়ে যাবে। কেননা এখনও পর্যন্ত সেভাবে প্রচারে নামতে দেখা যায়নি নরেন্দ্র মোদিকে। তাই নরেন্দ্র মোদি প্রচারে নামলেই বিরোধীদের সভা-সমিতিতে লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে দাবি করছেন গেরুয়া শিবিরের একাংশ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তাদের দল ক্ষমতায় এলে 10 লক্ষ চাকরি দেওয়া হবে বলেই ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন আরজেডির তেজস্বী যাদব। যার ফলে কিছুটা হলেও চাপে পড়েছেন নীতীশ কুমার এবং ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাল্টা নীতীশ কুমারের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে, 10 লক্ষ সরকারি চাকরির জন্য কোথা থেকে টাকা আসবে! আর এই ঘটনা নিয়ে দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে তরজা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। স্বভাবতই বর্তমান পরিস্থিতিতে এক রাজনৈতিক দল অপর রাজনৈতিক দলকে টেক্কা দিয়ে জনমানসে প্রতিশ্রুতির মধ্যে দিয়ে মানুষের সমর্থন আদায় করতে চাইছে। কিন্তু যে বিহারে বিজেপি এবং নীতীশ কুমারের দল সবথেকে বেশি শক্তিশালী, সেখানে বিরোধী দলের সমাবেশে ব্যাপক ভিড় হওয়ায় চিন্তা বাড়ছে বিজেপির অন্দরমহলে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরজেডির তেজস্বী যাদব একাই দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য ময়দানে নেমেছেন। কেননা এবার লালুপ্রসাদ যাদব আইনি জটিলতার কারণে বিহারের প্রচারে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তাই এই পরিস্থিতিতে ছেলেকে ময়দানে নামিয়ে নীতীশ কুমার এবং বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে চাইছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তেজস্বী যাদব প্রচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নীতীশ কুমারের দলের অনেকটাই অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তবে এরকম যদি চলতে থাকে, তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী দলের দিকে অনেকটাই সমর্থন চলে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, গোটা ব্যাপারটিই সাময়িক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রচারে নামলেই বিরোধীদলের ঘর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে। সব মিলিয়ে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কবে সক্রিয়ভাবে ময়দানে নামেন এবং তিনি ময়দানে নামার পর বিরোধীদলের অস্বস্তি আদৌ বৃদ্ধি পায় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!