এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলের নতুন কমিটিতে ঠাঁই মিললেও পদত্যাগের হিড়িক প্রভাবশালী নেতাদের! ঘুম উড়ছে শাসকদলের?

তৃণমূলের নতুন কমিটিতে ঠাঁই মিললেও পদত্যাগের হিড়িক প্রভাবশালী নেতাদের! ঘুম উড়ছে শাসকদলের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কোচবিহার জেলায় নতুন করে অশান্তি বাড়তে শুরু করল। নতুন কমিটি ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস আশা করেছিল, এবার সকলকে নিয়ে পথ চলা সম্ভব হবে। কিন্তু কোচবিহার উত্তর বিধানসভায় তৃণমূলের নতুন কমিটি ঘোষণা হতে না হতেই পাঁচ তৃনমূল নেতার সেখান থেকে পদত্যাগ অস্বস্তিতে ফেলে দিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে।

বস্তুত, মঙ্গলবার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় এই কোচবিহার উত্তর বিধানসভার 33 জনের ব্লক কমিটি এবং 13 টি অঞ্চলের পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করেন। আর সেই ঘোষণার 24 ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই 5 তৃণমূল নেতাকে পদত্যাগ করতে দেখা গেছে। কিন্তু কেন তারা এভাবে পদত্যাগ করলেন! এর ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনকে চাঙ্গা করা তো দূর অস্ত, উল্টে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে পদত্যাগকারী তৃণমূল নেতা সমীর চক্রবর্তী বলেন, “হঠাৎ করে দেখলাম আমাকে ব্লক কমিটির সদস্য করা হয়েছে। আমি অঞ্চলের রাজনীতি করি। ব্লকের রাজনীতি করি না। অঞ্চলে আমার নাম নেই। সেই কারণে আমি ব্লক কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে তৃণমূল নেতা নীরেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “আমাকে অঞ্চলের সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি পদত্যাগ করেছি। আমার মনে হয়েছে, এটা স্বজনপোষণ হয়েছে।”

একইভাবে তাকে অঞ্চল কমিটির সভাপতির পদ দেওয়ার কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানান আরেকটা সুনীল কুমার রায়। অন্যদিকে এই ব্যাপারে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মতিরঞ্জন দে এবং আবুল হোসেন মিয়া। এদিন এই প্রসঙ্গে মতিরঞ্জনবাবু বলেন, “আমার সঙ্গে আলোচনা না করেই আমাকে পদ দেওয়া হয়েছে। আমি চার বছর চকচকা অঞ্চলের সভাপতি পদে ছিলাম‌। এটা আমি মেনে নিতে পারিনি। সেই কারণে পদত্যাগ করেছি।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে আবুল হোসেন মিঞা বলেন, “দীর্ঘদিন পাতলাখাওয়া অঞ্চলের সভাপতি ছিলাম। আলোচনা না করে আমাকে ব্লক সহ সভাপতি করা হয়েছে। সেই কারণে পদত্যাগ করেছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিক ভাবেই এখন দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কেন এই সমস্ত নেতাকে দায়িত্ব দেওয়ার আগে তাদের কাছে জিজ্ঞেস করে নেওয়া হয়নি? এখন যেভাবে তারা পদত্যাগ করছেন, তাতে তো আদতে দলের মুখ পুড়ল! এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার 2 ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি পরিমল বর্মন বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের আগে কমিটি করা হল। কমিটির সদস্য যদি পদত্যাগ করেন, তাহলে যিনি কমিটি করেন, তার ব্যর্থতা বলেই মনে করি। এটা জেলা সভাপতির সম্পূর্ণ ব্যর্থতা। আলোচনা না করেই তিনি ব্লক এবং অঞ্চল কমিটি গঠন করেছেন। দল শক্তিশালী করতে গেলে আলোচনা করেই এসব করা উচিত। এসবে আমার কোনো ইন্ধন নেই।”

সত্যিই তো তাই! কেন যাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হল, তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হল না? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “আমরা ব্লকের পদাধিকারীদের সার্বিক সহমতের ভিত্তিতে সব করেছি। সবার সঙ্গে আলোচনা করা সম্ভব নয়। এক-দুই জায়গায় সমস্যা থাকলে আমরা কথা বলে ঠিক করে সমাধান করে নেব। আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। আমার কাছে কোনো পদত্যাগপত্র আসেনি। সবার ইচ্ছেই পূরণ হবে, এটা ভাবার অবকাশ নেই। দলের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিতে হবে।”

তবে জেলা সভাপতি যে কথাই বলুন না কেন, যেভাবে ব্লক কমিটি গঠন হওয়ার পর একের পর এক নেতা পদত্যাগ করলেন, তার ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি যে অনেকটাই বাড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, নেতাদের ক্ষোভ মেটাতে জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!