এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আজ সন্ধ্যাতেই অমিত শাহের সঙ্গে মহাবৈঠক রাজ্যপালের, দিল্লির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রাজ্যবাসী!

আজ সন্ধ্যাতেই অমিত শাহের সঙ্গে মহাবৈঠক রাজ্যপালের, দিল্লির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রাজ্যবাসী!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক অশান্তি একের পর এক মৃত্যু নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল। এমনকি বিরোধীদের পক্ষ থেকেও দাবি করা হয়েছিল, এবার কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের জন্য বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। আর এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। আর আজ সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন বাংলার সাংবিধানিক প্রধান। যে বৈঠককে কেন্দ্র করে রীতিমতো তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। অনেকের প্রশ্ন, তাহলে কি এবার অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করার পর রাজ্যপালের রিপোর্ট নিয়ে বড় কোনো পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্রীয় সরকার!

সূত্রের খবর, আজ সন্ধ্যে সাড়ে ছটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করবেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। মনে করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে যে পরিমাণ হিংসা এবং মৃত্যু মিছিল হয়েছে, তা নিয়ে যাবতীয় রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাতে তুলে দেবেন তিনি। শুধু তাই নয়, রাজ্যের মানুষ কি চাইছেন, সেই তথ্যও হয়তো অমিত শাহের কাছে উপস্থাপিত করবেন বাংলার রাজ্যপাল। সেদিক থেকে গণনার আগের দিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের এই মহা বৈঠক রীতিমতো চাপ বাড়াচ্ছে শাসকদলের অন্দরমহলে।

ইতিমধ্যেই এই বৈঠককে কেন্দ্র করে নানা মহলে তৈরি হয়েছে আশা- আশঙ্কার বাতাবরণ। বিরোধীদের অনেকে আশা প্রকাশ করছেন, হিংসার রিপোর্ট রাজ্যপালের কাছ থেকে নেওয়ার পর হয়তো বাংলা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কেননা বিরোধীরা ইতিমধ্যেই দাবি করেছে যে, রাজ্যে ৩৫৫ ধারা লাগু করা হোক। সেদিক থেকে ভোটের পরেই হিংসার রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠকের পর কি সেই পথেই হাঁটবে কেন্দ্রীয় সরকার, তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

অন্যদিকে একাংশের আশঙ্কা, এইভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিংসার ঘটনাকে হাতিয়ার করে যদি লোকসভার আগে বাংলার জন্য বড় পদক্ষেপ নেয় কেন্দ্র, তাহলে তা তাদের বিরুদ্ধে চলে যেতে পারে। তাই একটি নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়া বা বিপথে পরিচালিত করার মত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দুবার ভাবতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে রাজ্যপালের রিপোর্টের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং তাকে কেন্দ্র করে কি প্রভাব পড়ে বাংলার রাজনৈতিক মহলে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!