এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > শনিবারের বারবেলায় নবান্নে হাজির মুকুল রায়, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে করলেন বিস্ফোরক দাবি

শনিবারের বারবেলায় নবান্নে হাজির মুকুল রায়, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে করলেন বিস্ফোরক দাবি

রাজ্যবিজেপি প্রস্তাবিত রথযাত্রা এখনো চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মুখে। লোকসভা ভোটকে টার্গেট করেই সংগঠনকে চাঙ্গা করতেই রাজ্যের প্রতিটি লোকসভা এবং বিধানসভা কেন্দ্র ছুঁয়ে রথযাত্রা কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি। ৭ ডিসেম্বর কোচবিহারের রথযাত্রার শুভ সূচনা হবে জাতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের হাত দিয়ে,এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

মাস খানেক আগে এই রথযাত্রার অনুমতি চাইলেও প্রশাসনের তরফ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় গেরুয়াশিবির। কিন্তু তাতেও সুরাহা হল না। রথযাত্রা কর্মসূচীর উপর স্থগিতাদেশ জারি করে দেয় হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর সিঙ্গল বেঞ্চ। মামলা গড়ায় ডিভিশন বেঞ্চে।

শুক্রবার দিনভর শুনানির পর বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ বিজেপি প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখ্যসচিব,স্বরাষ্ট্রসচিব এবং ডিজিকে আলোচনায় বসার নির্দেশ দেয়। আদালতের সেই নির্দেশকে প্রাধান্য দিয়ে এদিন নবান্নে গিয়ে মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির হেভিওয়েট নেতা মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন তাঁদের আইনজীবীও। এবং রথযাত্রা নিয়ে আলোচনা চেয়ে মুখ্যসচিবকে ওই দুই বিজেপি নেতা চিঠিও দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, নবান্নে ১ তলায় অভ্যর্থনা কেন্দ্রে বিজেপির তরফে চিঠি দেন মুকুল রায়। মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে উদ্দেশ্য করে চিঠিতে লেখা হয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যসরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক বিজেপি। ১৪ তারিখ সেই বৈঠকের ফলাফল আদালতে জানাতে হবে। যদি সেরকম কোনো সমস্যা থাকে তাহলে ১ ঘন্টা আগে জানালেই বৈঠক করতে যেকোনো জায়গায় হাজির হতে রাজি বিজেপি নেতারা।

নবান্ন থেকে বেরিয়েই সাংবাদিকদের প্রশ্নের সম্মুখীন হন মুকুল বাবু। শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশের পরই রাজ্যসরকারের পদত্যাগ করা উচিৎ ছিল। আদালতে হলফনাথা দিয়ে কার্যত রাজ্যসরকার স্বীকার করে নিয়েছে রাজ্যে কোনো গনতান্ত্রিক নিয়মকানুন নেই। এরপর কীকরে কোনো সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারে? প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মুকুল।

প্রসঙ্গত, সিঙ্গল বেঞ্চের রায় খারিজ করার পর বিজেপির রথযাত্রা মামলায় রাজ্যসরকারের অসহযোগী আচরণকে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা করে ডিভিশন বেঞ্চ। কেন মাস খানেক ধরে ১৮ টি চিঠি দেওয়া হলেও রথযাত্রার অনুমতি দিতে পারল না প্রশাসন? কোনো সমস্যা থাকলে কেন রাজ্যবিজেপির সঙ্গে বৈঠকে বসে মিটিয়ে নেয়নি রাজ্য সরকার? এমন প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।

এমনকী এ প্রসঙ্গে প্রশাসন শীতঘুমে ছিল কিনা তা ভরা আদালতে জিজ্ঞাসা করেও কটাক্ষ করে প্রশাসনকে। এবং এরপর রায় দেয় আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্য প্রশাসনের তিন শীর্ষ আধিকারিক অর্থাত্‍ মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও ডিজির সঙ্গে বৈঠক করতে হবে রাজ্য বিজেপির তিন প্রতিনিধিকে। সেই বৈঠকেই রথযাত্রার বিষয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে উভয়পক্ষকে। এবং সেই বৈঠকের নির্যাস ১৪ ডিসেম্বর আদালতে পেশ করার নির্দেশও রয়েছে হাইকোর্টের তরফ থেকে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

উচ্চ আদালতের এই নির্দেশ মেনেই এদিন বারবেলায় নবান্নে গেলেন বিজেপি নেতারা। তবে আইনি লড়াই থেকে এখনই সরতে রাজি নয় গেরুয়াশিবির। শনিবার সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাফিল করলেন তাঁরা। অর্থাৎ রথযাত্রার মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ালে সেক্ষেত্রে বিজেপির বক্তব্য না শুনে রায় দিতে পারবে না শীর্ষ আদালত,এমনটাই মতামত পদ্মশিবির কর্তাদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!