করোনার দ্বিতীয় ঢেউ স্থিমিত হতেই চোখ রাঙ্গানি তৃতীয় ঢেউয়ের, সতর্ক করছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ অন্যান্য জাতীয় বিশেষ খবর শরীর-স্বাস্থ্য June 19, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ক্রমশ স্তিমিত হয়ে আসছে। প্রায় ১২ দিন ধরে দৈনিক করোনার সংক্রমণ ১ লক্ষের নিচে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যে সংক্রমণ কমে আসতে শুরু করেছে। বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছে আনলক প্রক্রিয়া। ঘরবন্দী থাকা মানুষ আবার বাইরে বেরোতে শুরু করেছেন। যানবাহনের পরিমাণ বাড়তে শুরু করেছে। অল্পদিনের মধ্যেই দূরপাল্লার বেশকিছু ট্রেনের পরিষেবা চালু হতে চলেছে। কিন্তু এর মধ্যেই বিশেষজ্ঞদের ভাবাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ, যা আগামী সেপ্টেম্বর- অক্টোবর মাসের মধ্যে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন একাধিক বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে গবেষণা করেছেন বহু বিজ্ঞানী। অধিকাংশ বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। তবে, কিছু বিজ্ঞানী আশঙ্কা করছেন, অক্টোবর নয়, তৃতীয় ঢেউ অগাস্ট মাসের শেষে অথবা সেপ্টেম্বর মাসে আছড়ে পড়তে পারে দেশজুড়ে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে, বহু বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় দেশ যতটা সতর্ক ছিল, তৃতীয় ঢেউয়ের সময়ে তার চেয়ে অনেক বেশি সতর্ক আছে। এ কারণে তৃতীয় ঢেউ রোধের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একাধিক বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছিলেন যে, করোনার তৃতীয় ঢেউ শিশুদের ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলবে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এআইআইএম এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, করোনার তৃতীয় ঢেউ শিশুদের উপরে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। মহারাষ্ট্র কোভিড টাস্ক ফোর্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, করোনার তৃতীয় ঢেউ অনেক বেশি ভয়ঙ্কর হতে পারে। সেখানে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লক্ষ অতিক্রম করে যেতে পারে। সে কারণে তৃতীয় ঢেউ আগমনের পরিস্থিতিতে একাধিক বিজ্ঞানী ও গবেষকরা জানিয়েছেন যে, যত বেশি সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে, ততই এর প্রভাব হ্রাস পাবে। টিকাকরণের উপর গতি আনার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দেশের সমস্ত নাগরিককে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর জানিয়েছিলেন যে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২১৬ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন রাখা হবে। এরমধ্যে ১০৮ কোটি মানুষের টিকাকরণের ব্লু প্রিন্ট প্রকাশ করা হয়েছে। দেশে এখন কোভ্যাকসিন, কোভিসিল্ড ছাড়াও নোভাভ্যাকসিন, জেনোভা, স্পুটনিক ভি ভ্যাক্সিন আছে, আরও কিছু ভ্যাকসিন আসার সম্ভাবনা আছে। ভ্যাকসিনের অভাব দূর করে যত দ্রুত সম্ভব সমস্ত দেশবাসীকে টিকাকরণের পরামর্শ দিয়েছেন অনেকেই। আপনার মতামত জানান -