এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কেন্দ্র মানা করলেও কোষাগারের কথা ভেবে রাজ্য মদের ডেলিভারি শুরু করতে চলেছে? জানুন বিস্তারিত

কেন্দ্র মানা করলেও কোষাগারের কথা ভেবে রাজ্য মদের ডেলিভারি শুরু করতে চলেছে? জানুন বিস্তারিত


ভারতসহ পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে মারণ ভাইরাস করোনার ছত্রছায়া থেকে দূরে থাকতে চলছে লকডাউন। প্রথম দফার লকডাউন শেষে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন গত 15 এপ্রিল থেকে। চলবে আগামী 3 রা মে পর্যন্ত। এই অবস্থায় দেশ তথা রাজ্যের মানুষ হয়েছে গৃহবন্দী। বন্ধ সমস্ত দোকানপাট, বাজার। যদিও এই কারণে আর্থিকভাবে রাজ্য এবং কেন্দ্র  উভয়ই চরম দুর্দশার সম্মুখীন হয়েছে।

কিন্তু তা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের কথা ভেবে  লকডাউন এর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেই হয়েছে। তবে এই লকডাউন এর ফলে সবথেকে অসুবিধায় পড়েছে সুরাপ্রেমীরা। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা দাবি জানিয়ে আসছেন, লকডাউন চললেও তাঁদের সূরা প্রেমে যেন ঘাটতি না পরে। অন্যদিকে রাজ্যের অধিকাংশ রাজস্ব আদায় হয় আবগারি দপ্তর থেকেই। তাই কলকাতার এক প্রথমশ্রেণীর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আবগারি সূত্রে খবর, এবার দেরি না করে রাজ্যের কোষাগার আবার পূর্ণ করতে রাজ্যজুড়ে মদের হোম ডেলিভারি করার ব্যবস্থা শুরু হতে চলেছে।

সম্প্রতি লকডাউনের মধ্যেই সপ্তাহ খানেক আগে মদের হোম ডেলিভারি হতে চলেছে বলে একটি ভুয়ো খবর ছড়ায় রাজ্যে। কিন্তু  সে সময় না হলেও এবার আর দেরি করতে রাজি নয় রাজ্যের আবগারি দফতর। সূত্রের খবর, সুরাপ্রেমীরা মদের দোকানে ফোন করে সকাল 11 টা থেকে বেলা দুটোর মধ্যে অর্ডার দিতে পারবেন মদের এবং সেই অর্ডার অনুযায়ী বাড়িতে মদ পৌঁছে যাবে বেলা দুটো থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ, কড়া নির্দেশিকা অনুযায়ী বিকেল পাঁচটার পর কিন্তু আর কোনভাবেই মদের দোকান খোলা রাখা যাবেনা। এই ব্যবস্থায় রাজ্যের আঠারোশো দোকানের মধ্যে 60% দোকান রাজি হয়ে গেছে বাড়ি গিয়ে মদের হোম ডেলিভারি দেওয়ার জন্য বলে জানাচ্ছে ওই সংবাদমাধ্যম। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, শুল্ক দফতরের আইন অনুযায়ী মদের হোম ডেলিভারিতে যেমন কোন নিষেধাজ্ঞা নেই, আবার হোম ডেলিভারি করতেই হবে এমন কোন নিয়মও নেই।

তাই এবার সরকারি রাজস্বের ক্ষতি মাথায় নিয়ে এবং করোনার ধাক্কা সামলাতে তড়িঘড়ি মদের হোম ডেলিভারির সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার বলে দাবি করছে ওই সংবাদমাধ্যম। অন্যদিকে, এই সিদ্ধান্ত ঘিরে ইতিমধ‍্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিরোধীরা সরকারী সিদ্ধান্তের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। রাজ্যের এই কঠিন অবস্থায় কিভাবে খাদ্যদ্রব্যের বাইরে একটি রাজ্য প্রশাসন মদ সরবরাহ করতে পারে, এই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের একাংশ দাবি করছে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ কোষাগারের বেশিরভাগটাই আসে আবগারি দপ্তরের রাজস্ব থেকে। গত তিন সপ্তাহ ধরে আবগারি দপ্তর বন্ধ রেখেছে তাঁদের সমস্ত কাজকর্ম। ফলে রাজ্যের কোষাগার খালি হওয়ার পথে। আবার রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সামলাতে প্রয়োজন প্রচুর অর্থ। এই অবস্থায় পুনরায় রাজস্ব আদায়ের জন্য মদের হোম ডেলিভারি করা ছাড়া রাজ্য সরকারের কাছে এই মুহূর্তে আর কোনো রাস্তা খোলা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, ভারতে প্রথম দফার ২১ দিনের লকডাউন শেষে, করোনা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা যায় নি। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই লকডাউন আগামী ৩ রা মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর সেই দ্বিতীয়দফার লকডাউনের জন্য যে গাইডলাইন কেন্দ্র প্রকাশ করেছে, সেখানে স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে, এইসময়ে তামাক বা তামাকজাত দ্রব্য এবং মদের বিক্রি কোনোভাবেই করা যাবে না। যারা তা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। এখন দেখার, কেন্দ্রীয় নির্দেশ উড়িয়ে রাজ্য সত্যিই মদের হোম ডেলিভারি শুরু করে কিনা। যদিও এই নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে এখনও কোনো সরকারি বিজ্ঞপ্তি সামনে আসে নি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!