এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > সরকারি ত্রাণ পাওয়ার তালিকায় এক ধাক্কায় বাদ গেল 80 শতাংশ নাম! তীব্র ক্ষোভ পুরসভার প্রশাসকদের ওপর

সরকারি ত্রাণ পাওয়ার তালিকায় এক ধাক্কায় বাদ গেল 80 শতাংশ নাম! তীব্র ক্ষোভ পুরসভার প্রশাসকদের ওপর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সরকারি ত্রাণ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রে তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হচ্ছেন বিরোধীরা। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়ছে রাজ্যের শাসক দল‌। আর এবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে সরকারি ত্রাণ প্রাপকের সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যাওয়ায় পৌরসভার প্রশাসককে দায়ী করে সরব হচ্ছে বিরোধী দল বামফ্রন্ট। জানা গেছে, গত বছর বালুরঘাট শহরে 1740 জন ব্যক্তি জি আর পেয়েছিলেন। কিন্তু এবছর সেই তালিকায় নাম উঠেছে মাত্র 344 জনের। ফলে এক ধাক্কায় প্রায় 1400 জনের নাম না থাকায় এখন সেই তালিকা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন‌।

কেন এইভাবে সাধারণ মানুষকে সরকারি সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, তা নিয়ে সরব হয়েছে বামেরা। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে যখন মানুষের রুজি-রুটির কার্যত সংশয়ের মুখে, তখন দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী মানুষজনের কাছে কেন সঠিক পরিমাণে জি আর পৌঁছাচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে বালুরঘাট পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আরএসপি সুচেতা বিশ্বাস বলেন, “পৌরসভায় বামফ্রন্টের বোর্ড থাকার সময় থেকেই এই শহরের দুঃস্থ মানুষজনকে জি আর দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের আমলেও শহরের অনেক বাসিন্দারা জি আর পেয়েছেন। কিন্তু বর্তমান পৌর কর্তৃপক্ষ প্রাপকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমিয়ে দিয়েছে। যার ফলে অনেক গরিব মানুষ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। করোনা পরিস্থিতি চলছে। এই সংকটের সময় পুর কর্তৃপক্ষ কেন নাম বাদ দিল, তার জবাব চাই।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এই ব্যাপারে বিজেপির মন্ডল সভাপতি সুমন বর্মন বলেন, “আগের জি আর তালিকায় নিয়ম না মেনে অনেক তৃণমূল নেতার নাম ছিল। হয়ত প্রশাসক বোর্ড সেই নামগুলো কেটে দিয়েছে। কিন্তু তার পাশাপাশি দুস্থ ও গরিব মানুষের নাম জি আর প্রাপকদের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে পুর প্রশাসন। পৌরবোর্ডের এহেন কাজ করা উচিত হয়নি।” এদিকে এই ব্যাপারে বালুরঘাট পৌরসভার তৃণমূলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রাজেন শীল বলেন, “আগে আমাদের কাউন্সিলররা নিজ নিজ এলাকায় জি আর প্রাপকের সংখ্যা কিভাবে বাড়ানো যায়, তার চেষ্টা করতেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে জি আর প্রাপকের সংখ্যা একেবারেই কমে যাচ্ছে। দুস্থ মানুষ যাতে কোনোভাবেই বঞ্চিত না হয়, সেদিকে পৌর প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।”

কিন্তু কেন এমনটা হল? কেন আশ্চর্যজনকভাবে বর্তমানে সংকটজনক পরিস্থিতিতে সাহায্য পাওয়া মানুষদের তালিকা অনেকটাই কমে গেল? যেখানে মানুষকে আরো বেশি করে এই সময় সাহায্য করা উচিত, সেখানে জি আর প্রাপকদের তালিকা কিভাবে কমল? এদিন এই প্রসঙ্গে বালুরঘাট পৌরসভার প্রশাসক বিশ্বরঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, “সরকার যেভাবে এই বছর জি আর বরাদ্দ করেছে, সেভাবেই দেওয়া হচ্ছে। সঠিক নিয়ম মেনেই পৌরবোর্ড তালিকা তৈরি করেছে। কোন দল কি বলছে, সেই বিষয়ে কিছু জানি না।” তবে যেভাবে এই তালিকায় অনেক মানুষের নাম নেই বলে অভিযোগ তুলে সরব হচ্ছে বিরোধীরা, তাতে পৌর কর্তৃপক্ষ অনেকটাই চাপে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!