এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিজেপির ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ কর্মসূচী থেকে পুলিশকে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিলীপের! শুরু তীব্র বিতর্ক

বিজেপির ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ কর্মসূচী থেকে পুলিশকে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিলীপের! শুরু তীব্র বিতর্ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল শুক্রবার রাজ্যজুড়ে বিজেপির ‘গণতন্ত্র বাঁচাও, বাংলা বাঁচাও’ কর্মসূচি পালিত হল। এই কর্মসূচি উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে রাজ্য বিজেপির বিশেষ অবস্থান ছাড়াও রাজ্যের আরও ৮২ টি স্থানে জেলা বা মহাকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ জানালো পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।

গতকাল গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থানকালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের শাসক দলের প্রতি কটাক্ষ করে বললেন যে, গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে যখনই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি হিসেবে রাজ্য সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ রূপে অবতীর্ণ হয়ে রাজ্যের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলতে আরম্ভ করেছে, তখন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ইভিএমের পরিবর্তে পুনরায় ব্যালট ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে ‘দিদিমনি’ বলে সম্বোধন করে রাজ্য সভাপতির দাবি, ” আমরা তৃণমূলকে ইভিএমেও হারাব, ব্যালটেও হারাব।”

অন্যদিকে রাজ্যের শাসক দলের প্রতি কটাক্ষ হেনে তিনি জানালেন, মূলত নির্বাচনে পরাজিত হবার ভয়েই রাজ্য সরকার গত ২০১৮ সালে মেয়াদ শেষ হয়ে যায় রাজ্যের ১৭ টি পুরসভার নির্বাচনকে স্থগিত করে রেখেছে।

বিজেপি দলের রাজ্য সভাপতির এই বক্তব্যের জবাবে গতকাল রাজ্যের জনৈক মন্ত্রী তাপস রায় জানালেন যে, পশ্চিমবঙ্গের কোন স্থানের মানুষকেই যারা চিনতে পারেননি তারাই এই সমস্ত অদ্ভুত অভিযোগ দায়ের করছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত পুলিশের বিরুদ্ধে বহুবার অভিযোগের তীর তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী নেতৃত্ব। রাজ্যের পুলিশ নিরপেক্ষতা হারিয়ে, শাসক দলের দলদাসে পরিণত, এমন অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে বারবার তুলতে দেখা গেছে রাজ্যের বিরোধী মহলকে। গতকাল শুক্রবার হাওড়ায় অনুষ্ঠিত একটি সভা মঞ্চ থেকে প্রায় নজিরবিহীন ভাবে পুলিশের প্রতি বিষেদাগার করে রাজ্য সভাপতি বললেন, ” যে পুলিশ অফিসার তৃণমূলের কথা শুনে আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যে কেস দিচ্ছেন, তাঁর নাম লিখে রাখুন। এক বছরের মধ্যে অবসর হবে না। চাকরিও করতে হবে, আবার বউ-বাচ্চার মুখও দেখতে হবে। দু’টো কাজ কিন্তু সমস্যায় পড়ে যাবে। আর আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে যেমন ইচ্ছা করে ধর্ষণ, খুন, অস্ত্র মামলা দেওয়া হচ্ছে, তেমন একটা-দু’টো কেস আপনাদেরও খেতে হবে। পেনশন-গ্র্যাচুইটি আটকে যাবে। ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করতে পারবে না।’’

অন্যদিকে গতকাল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় আসানসোলের একটি দলীয় সভাতে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বললেন, ” আমাদের কর্মীদের পুলিশ মারছে, লক-আপে গুলি করছে। এই ধরনের পুলিশদের চিহ্নিত করে আমরা পা-চাটাব।’’

এরপর গতকাল রাজ্য বিজেপির সভাপতি ও রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতির পুলিশের প্রতি এই বক্তব্যগুলির প্রত্যুত্তরে রাজ্য সরকারের জনৈক মন্ত্রী তাপস রায় জানালেন, ” যারা রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটকে টাকার বান্ডিল আর বাজারের থলি হাতে বিধায়ক কিনতে বেরিয়েছিল, সেই দলের কাছ থেকে আমরা গণতন্ত্রের পাঠ নেব না। আর দিলীপবাবুরা পুলিশকে যে অশ্লীল হুমকি দিয়েছেন, তা থেকেও স্পষ্ট, কেমন গণতন্ত্রে তাঁরা বিশ্বাস করেন !’’

অন্যদিকে গতকাল রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিজেপির অবস্থান বিক্ষোভের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, রাজ্যের সাম্প্রতিক করোনা সংক্রমণ পর্বেও গতকালের বিজেপির সমস্ত কর্মসূচিতেই বিধিভঙ্গ করে যথেষ্ট লোক সমাগম হয়েছিল, আর তাঁদের মধ্যে অনেকেই সামাজিক দূরত্ব বিধি হেলায় অমান্য করেছেন, তার ওপরে অনেক বিজেপি কর্মী মাস্ক পর্যন্ত পরিধান করেননি। মাস্ক ঝুলিয়ে রেখেছেন গলায় বা চোয়ালে। সেই সঙ্গে পুলিশের প্রতি রাজ্য সভাপতির এমনতর বক্তব্যে বিতর্ক ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!