এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > সোনার বাংলা ফিরিয়ে আনতে রাজ্যপাল হয়ে রবি ঠাকুরেই ভরসা রাখতে চলেছেন হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ!

সোনার বাংলা ফিরিয়ে আনতে রাজ্যপাল হয়ে রবি ঠাকুরেই ভরসা রাখতে চলেছেন হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিশ্বভারতীর ঘটনা নিয়ে এমনিতেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানে প্রাচীর ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা সত্যিই অনভিপ্রেত বলে মনে করছেন সকলে। এমনিতেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কিছু ইস্যু পেলেই ময়দানে নেমে যায় বিরোধী রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি। আর বিশ্বভারতীর মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে এইরকম ঘটনা যখন নানা মহলে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে, তখন তাকে হাতিয়ার করে বিজেপি ময়দানে নামবে, এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার।

আর এবার বিশ্বভারতীর ঘটনা নিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সূত্রের খবর, এদিন সৌমিত্রবাবুর নেতৃত্বে বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। যেখানে বিশ্বভারতীর ঘটনার কথা তুলে ধরে উষ্মা প্রকাশ করেন এই বিজেপি সাংসদ।

এদিন সৌমিত্রবাবু বলেন, “রবী ঠাকুরকে নিয়ে লড়াই করতে চাই না। বিশ্বভারতী কাণ্ডে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে গণেশ চতুর্থীর পর থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথের ছবি সামনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হবে। মোমবাতি জ্বালিয়ে বলব, ঠাকুর তোমার এই সোনার বাংলা ফিরিয়ে দাও। এই বাংলায় অবনতি শুরু হয়েছে। আমরা তার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বভারতীর ঘটনা নিয়ে এমনিতেই রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে রয়েছে। কেননা এই প্রাচীর ভাঙ্গার ঘটনায় গ্রামবাসীদের পাশাপাশি নাম জড়িয়েছে তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউরির। স্বাভাবিকভাবেই একজন জনপ্রতিনিধি কেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রাচীর ভাঙ্গার ঘটনায় নিজেকে নিযুক্ত করলেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

গোটা ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই উষ্মা প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এই অবস্থায় যেভাবে বিজেপির পক্ষ থেকে চাপ দিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে গোটা ঘটনার বিচারের দাবি জানানো হল, তাতে শাসকদল আরও চাপে পড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!