এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > বাজার-দর > মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এসি ঘরে মুরগী পুষছে রাজ্য সরকার! দিনের শেষে হাসি কিন্তু চওড়াই হচ্ছে

মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এসি ঘরে মুরগী পুষছে রাজ্য সরকার! দিনের শেষে হাসি কিন্তু চওড়াই হচ্ছে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার যেন একটি মুরগী চাষের কাহিনী চোখে পড়তে শুরু করল। কড়া অনুশাসনের মধ্যে লক্ষ লক্ষ মুরগীর ছানাকে এসি ঘরে বড় করে তোলা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, মুরগী বাচ্চারা যেন জামাই আদরে রয়েছে। সময় মেনে খাবার থেকে শুরু করে পানীয় জল সব কিছুই তাদের মুখের সামনে চলে আসছে। এমনকি একটি মেশিন দিয়ে পালক সাফাই থেকে শুরু করে পাখির বিষ্ঠা, সমস্ত কিছুই পরিস্কার করা হচ্ছে।

আর এখানেই প্রশ্ন, সামান্য মুরগীদের জন্য এত রাজা রাজরাদের মত ব্যবস্থা কেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্নত মানের ডিম তৈরি করতেই মুরগীদের এত যত্ন করা হচ্ছে। আর সেই জন্যই রাজ্য প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের পক্ষ থেকে মুরগীদের জন্য এমন অত্যাধুনিক বাসস্থান গড়ে উঠেছে বলে খবর। এসি ঘরের মধ্যে মুরগি রেখে সেখান থেকে উৎপন্ন করা হচ্ছে ডিম। আর তা হরিণঘাটা মিট ব্র্যান্ডের আওতায় বিক্রি করতে চলেছে রাজ্য সরকার।

জানা গেছে, প্রতি ডিমের দাম সাড়ে চার টাকা। হঠাৎ করে  রাজ্য সরকার  উদ্যোগ নিতে গেল কেন? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের চাহিদা মেটানোর জন্য দক্ষিণ ভারতে একমাত্র ভরসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি চেয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ ধীরে ধীরে ডিম উৎপাদনে স্বয়ংক্রিয় হোক। আর তার কারণেই তিনি প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরকে গোটা ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দেন। আর তারপরেই এই ব্যাপারে পরিকল্পনা করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অবশেষে এই ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার পর কল্যাণীতে এই ফার্ম তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। জানা গেছে, এখানে মোট তিনটি কাঠামো গড়ে তোলা হবে। প্রত্যেকটিতে এক লক্ষ করে মুরগি থাকবে। আর এই গোটা পরিকল্পনা সফল করতে বরাদ্দ করা হয়েছে 28 কোটি টাকা। একাংশ বলছেন, বর্তমানে সরকারি মুরগির মাংসের দাম 140 টাকা। তাই এভাবে ডিমের ক্ষেত্রেও যাতে একটি দাম নির্ধারণ করা যায় এবং তা মানুষের কাছে আরও বেশি পরিমাণে পৌঁছে দেওয়া যায়, তার জন্যই রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ।

এদিন এই প্রসঙ্গে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে বলেছিলেন ডিমের উৎপাদনে আমরা তা বাস্তবায়িত করার দিকে এগোচ্ছি। আশা করি সফল হব।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথমত এই প্রক্রিয়া দূষণহীন প্রক্রিয়া। পাশাপাশি এই গোটা ফার্মের তাপমাত্রা দ্রুত সহ সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সেই কারণে মুরগির মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় খুব একটা নেই‌। এছাড়াও তিন লক্ষ মুরগি প্রতিপালন করার উদ্যোগ শুরু হয়, তাহলে রাজ্যে মুরগীর অভাব অনেকটাই মিটবে।

মানুষের কাছে খুব সহজেই পৌঁছে যাবে। যার ফলে একদিকে উৎপাদন এবং অন্যদিকে মানুষের কাছে সহজলভ্য ভাবে মুরগির ডিম পৌঁছে যাওয়ার ক্ষেত্রে নতুন দিশা তৈরি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এখন গোটা প্রক্রিয়ায় মুরগি চাষের মধ্য দিয়ে রাজ্য প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর কতটা মানুষের সুবিধার ক্ষেত্রে এই উদ্যোগকে প্রতিষ্ঠা করতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!